দেশ বিভাগে ফিরে যান

শাহী ফরমান, দেশের গবেষণা সংস্থাগুলিকে যোশীমঠ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ দেওয়ার নিদান

January 15, 2023 | 2 min read

যোশীমঠ নিয়ে বলা বারণ! এমনই নিদান দিল অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। প্রকৃতির রোষে পড়েছে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ। আস্তে ধসে যাচ্ছে এই জনপদ। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সাত মাস ধরে একটু একটু করে বসে গিয়েছে যোশীমঠ। গত দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে এই তীর্থক্ষেত্র। ২ জানুয়ারি বড় ধসের শিকার হয় যোশীমঠ। গোটা এলাকায় অজস্র জায়গায় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। বসত বাড়ি থেকে সেনা ক্যাম্প কিছুই বাদ নেই। এর কারণ হিসেবে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, যোশীমঠের নীচের মাটি হঠাৎ করে সরে গিয়েছে। এই কারণের কথা সামনে আসতেই ফরমান জারি করে বসল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।

ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার কার্টোস্যাট-২ এস উপগ্রহের পাঠানো ছবি প্রকাশ করে। সেই উপগ্রহচিত্রে যোশীমঠের কেন্দ্রে ধসকে চিহ্নিত করা যাচ্ছিল। ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। এরপরই দেশের বিভিন্ন সরকারি গবেষণা সংস্থাকে চিঠি পাঠায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। চিঠি বলা হয়েছে, যোশীমঠের মাটি বসে যাওয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এবং সমাজমাধ্যমে কিছু বলা যাবে না।

ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের ওয়েবসাইট থেকে কার্টোস্যাট-২ এস উপগ্রহের পাঠানো ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে গত ১২ জানুয়ারি বৈঠকে বসেছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। তারপরেই এই নিদান এসেছে।

ইসরো, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, আইআইটি রুড়কি, আইআইআরএস, এনআইডিএমসহ প্রায় ডজনখানেক গবেষণা সংস্থার প্রধানদের কাছে এই ফরমান পৌঁছেছে। কিন্তু কেমন এমনটা করা হল? যোশীমঠ নিয়ে কীসের এত ভীতি মোদী সরকারের?
২০২১ সালের অক্টোবরেই ইঙ্গিত মিলেছিল যোশীমঠ বিপন্ন। এলাকার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অভিযোগ বারবার বলেও কাজ হয়নি, মোদী সরকার বা উত্তরাখণ্ডের ডবল ইঞ্জিন সরকার কেউই বিষয়টিকে আমল দেয়নি। পরিবেশবিদ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের খননের জন্যে অনিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণই এই বিপদ ডেকে এনেছে। ফলে কাঠগড়ায় উঠছে মোদী সরকারের ভূমিকা। আর তাই কী তড়িঘড়ি সরকারের দোষ ঢাকতে গবেষণা সংস্থাগুলোকে মুখ বন্ধ রাখার নিদান দিলেন অমিত শাহ? উঠছে প্রশ্ন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#joshimath, #Joshimath Crisis, #Joshimath Disaster

আরো দেখুন