সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে রাজমিস্ত্রি প্রশিক্ষণ শিবির চালুর ভাবনা রাজ্যের
মোদী সরকারের টালবাহানায় কাল বিলম্ব হয়েই চলেছে। এবার চলতি অর্থ বছর শেষ হওয়ার আগে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি বানানোর কাজ শেষ করতে হবে রাজ্যকে। এত অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল সংখ্যক বাড়ি নির্মাণের জন্যে প্রয়োজন হাজার হাজার রাজমিস্ত্রি। রাজমিস্ত্রি জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর। দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। উপায় খোঁজা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে শীঘ্রই রাজমিস্ত্রি প্রশিক্ষণ শিবির চালু করা হবে। শোনা যাচ্ছে, বাংলার প্রায় সব জেলাতেই চালু হবে রাজমিস্ত্রি প্রশিক্ষণ শিবির।
যাঁরা এমন প্রশিক্ষণ দেয়, সেই সমস্ত সংস্থার সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তারা। জেলায় জেলায় তাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। যদিও মোদী সরকারের আবাস প্লাস প্রকল্পে রাজ্যের পাওনা সব টাকা আটকে রয়েছে। টাকা না এলে কাজ পুরোপুরি শুরু করা যাচ্ছে না, এখন টাকা এলেও মার্চের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে রাজ্যকে। এখন ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি তৈরি হবে রাজ্যে। ফলে বিপুল সংখ্যক প্রশিক্ষিত লোক দরকার।
জানা গিয়েছে, ২০-৩০ জনকে নিয়ে একেকটি ব্যাচ হবে। যাঁরা শিখবেন তাদের ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যাঁরা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, তাদের ৯ দিনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বরাদ্দ হাওয়া টাকায় কীভাবে ঘর বানানো যাবে, তা শেখানো হবে। দ্রুত পর্যাপ্ত সংখ্যায় প্রশিক্ষিত রাজমিস্ত্রি তৈরি রাখতে চাইছে নবান্ন। কেন্দ্রের থেকে বকেয়া টাকা এসে গেলেই সর্বত্র বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে। সে সময় যাতে রাজমিস্ত্রির কারণে কাজে বিলম্ব না হয়, তা সুনিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।