কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

সম্প্রীতির অনন্য নজির, এলাচির রপ্তান গাজী মাজারের মেলা

January 16, 2023 | 2 min read

সম্প্রীতির নজির রাজপুর-এলাচি বাইপাসের ধারে অবস্থিত রপ্তান গাজি মাজারের মেলা। প্রতি বছর ১ মাঘ এই মেলার আয়োজন করা হয়। অভীষ্ট পূরণের লক্ষ্যে পুণ্যার্থীরা পুকুর থেকে স্নান করে এই দরগার মাজারে ফুল ও সিন্নি চড়ান। হিন্দু, মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের সমাগম হয় এই মেলায়। ধর্মীয় বিভেদ আর জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে প্রার্থনায় অংশ নেন সকলে।

রপ্তান গাজি কবে, কোথা থেকে এলাচিতে এসেছিলেন তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী অনেক মত প্রচলিত আছে। লোকমুখে জানা গেছে, পীর রপ্তান গাজির নাম করে কোনও মনস্কামনা জানালে তা অচিরেই পূরণ হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, এই দরগাটির বয়স আনুমানিক ছয়শ বছর। দরগার গৃহের ইটগুলি দেড় ইঞ্চি পুরু ও ছয় থেকে সাত ইঞ্চি লম্বা। এর থেকে এর প্রাচীনত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। সম্প্রতি এই দরগার সংস্কার করা হয়েছে।

আলোক সজ্জিত মাজারের উপরের অংশ

এই দরগায় রপ্তান গাজির সমাধির উপর লাল সালু ও তারউপর মালা দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রতি শুক্রবার পুজা ও হাজত হয় এই স্থানে। তাই নরেন্দ্রপুর, সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং ছাড়াও অনেক দূরের জেলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে এই মেলায়।

ছবি সৌজন্যে – ফেসবুক

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে মেলা। এদিন সবাই নিজের মনের ইচ্ছে পূরণের উদ্দেশ্যে মাজারে ফুল চড়ান। ভক্তরা এই মাজারে ধুপ, বাতি দেন। এখান থেকে রক্ত আমাশা, রক্তহীনতা, মেয়েলি অসুখের ওষুধ দেওয়া হয়। অনেকে আবার ‘মানত’ পূরণের জন্য হাস, মুরগি প্রদান করে থাকেন। কেউ আবার সাংসারিক অশান্তি দূর করতে প্রিয়জনের আরোগ্য কামনায় মাজারকে কেন্দ্র করে দণ্ডি কাটছেন। কেউ আবার প্রিয়জনের আরোগ্য কামনায়। এই দিন দরগায় সকলে মুক্ত হস্তে দান করেন।

ভিড় নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্রপুর ও সোনারপুর থানার পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সকাল থেকেই মোতায়েন থাকেন মেলা প্রাঙ্গণে। এদিন নিরাপত্তার জন্য বারুইপুর বাইপাসের কিছুটা অংশ বন্ধ রাখা হয়। প্রতি বছর সুশৃঙ্খল ও নিরাপদভাবে আয়োজিত হয় এই মেলা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Elachi, #Narendrapur, #Raptan Gazi Fair

আরো দেখুন