দোরগোড়ায় বইয়ের সবচেয়ে বড় উৎসব, সাজো সাজো রব কলকাতায়
দোরগোড়ায় বই উৎসব, দু’সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতায় বসতে চলেছে বইমেলার আসর। বইয়ের সবচেয়ে বড় উৎসব। লক্ষ লক্ষ পাঠক, শত শত প্রকাশকেরা মিলিত হবেন ব্ইমেলায়, থাকবেন লেখকরাও। বহুদিন আগে থেকেই কলকাতা বইমেলা হয়ে উঠেছে উৎসবপ্রিয় বাঙালির চোদ্দতম পার্বন। কিন্তু বইমেলার নিজস্ব কোনও ঠিকানা ছিল না। কখনও কলকাতা ময়দান, আবার কখনও মিলনমেলা প্রাঙ্গণ, কখনও আবার পার্ক সার্কাস ময়দানে জায়গা পেয়েছে বইমেলা। ২০১৮ থেকে সেন্ট্রাল পার্কেই আয়োজিত হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। ৪৫ বছর পর বইমেলা স্থায়ী জায়গা পেয়েছে। সেন্ট্রাল পার্কের নাম হয়েছে ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’।
আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সূচনা করবেন। মেলার মাঠে এখন সাজো সাজো রব। এবারের থিম কান্ট্রি স্পেন। ২০২১ সালে করোনার কারণে মেলা হয়নি। গত বছরও করোনার কারণে বিধিনিষেধ মেনে মেলা হয়েছিল। এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক। চেনা ছন্দে ফিরবে বইমেলা। আশা করা হচ্ছে জনসমাগমও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে ২৫০টি স্টল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। আয়োজক গিল্ড সম্পাদক ত্রিদিববাবুর কথায়, এবার ছোট, মাঝারি ও বড় মিলিয়ে প্রায় ৯০০টি স্টল হচ্ছে।
গতকাল বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে, সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়সহ প্রশাসনিক কর্তারা মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। বৈঠকও করেন। এবার শিয়ালদহ থেকে সরাসরি মেট্রোয় বইমেলায় আসা যাবে। মেলার মাঠে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা এড়াতে সমস্ত সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গেও এদিন বৈঠক হয়। ভিড় সামলানোর জন্য বাড়তি ব্যবস্থা করছে পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য এবার আরও বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য আগামী বছর একটি আন্ডারপাস তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বইমেলা প্রাঙ্গণে পুলিশ, দমকল ও গিল্ডের স্থায়ী অফিস হচ্ছে।