দেশ বিভাগে ফিরে যান

নির্বাচনী’ বন্ড থেকে আয়ে শীর্ষে বিজেপিই, অন্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে!

January 21, 2023 | 2 min read

২০১৭ সালে মোদী সরকারের আমলে চালু হয়েছিল ‘নির্বাচনী বন্ড’। স্টেট ব্যাঙ্কের থেকে এই বন্ড কিনে যে কেউ তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে পারেন। কিন্তু এর ফলে কোন কর্পোরেট সংস্থা কোন রাজনৈতিক দলে চাঁদা দিচ্ছে, তা জানার উপায় থাকে না। বিনিময়ে তারা সুবিধা আদায় করছে কি না, তা-ও বোঝার উপার নেই। রাজনৈতিক দলগুলির চাঁদায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছে।


২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিক্রি হওয়া নির্বাচনী বন্ডের টাকা গিয়েছে বিজেপির তহবিলে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান কংগ্রেস ও তৃণমূল থাকলেও বিজেপির তুলনায় তাদের প্রাপ্ত অনুদান চোখে লাগার মতো কম। নির্বাচন কমিশনে ওয়েবসাইটে বন্ড সংক্রান্ত হিসাব জমা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।


২০২২ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেওয়া হিসাব অনুযায়ী নির্বাচনী বন্ডের থেকে গেরুয়া শিবিরের আয় হয়েছে ১,০৩৩ কোটি টাকা। ২০২১, ২০২০, ২০১৯ সালে আয় হয়েছে যথাক্রমে ২,২৩৮ কোটি, ২,৫৫৫ কোটি এবং ১৪৫ কোটি টাকা। এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ২০১৮ সালে বিজেপির আয় হয়েছে ২১০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আয় হয়েছে ৫,২৭০ কোটি টাকা। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯,২০৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে ৫৭ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের তহবিলে।


তৃণমূল কংগ্রেস ২০২১-২২ সালে নির্বাচনী বন্ড থেকে আয় করেছে ৫২৮ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২১, ২০২২ এবং ২০১৯ সালে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যে যথাক্রমে ৪২, ১০০ এবং ৯৭ কোটি টাকা। নির্বাচন বন্ডের মাধ্যমে সব মিলিয়ে দল পেয়েছে ৭৭৬ কোটি টাকা যা কিনা মোট বিক্রির ৮ শতাংশ।


তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। গত অর্থবর্ষে তারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ২৫৩ কোটি টাকা তুলতে পেরেছে। ২০২১ সালে ১০ কোটি, ২০২০ সালে ৩১৭ কোটি এবং ২০১৯ সালে ৩৮৩ কোটি টাকা তারা তহবিল সংগ্রহ করতে পরেছে। সে দিকে থেকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কংগ্রেসের আয় ক্রমশ কমছে। কমিশনের ওয়েবসাইটে তারা ঘোষণা করছে গত তারা দেশের বাইরে থেকে কোনও অনুদাই পায়নি।


উল্লেখ্য- বছরে চারবার নির্বাচনী বিক্রি হয় (জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই এবং অক্টোবরে)। সরকারের নোটিশ দেওয়ার পর ১০ দিন সময় থাকে বন্ড কেনার। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই এই বন্ড বিক্রি হয়। যদিও রাজনৈতিক দলগুলি দেশের ১০টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতে হলে সাধারণ নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকে অন্তত ১ শতাংশ ভোটে পেতে হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #modi govt, #electoral bonds, #electoral bond, #Congress, #bjp

আরো দেখুন