সমাজ মাধ্যমে BBC-র তথ্যচিত্র নিয়ে পোস্ট নয়, তুঘলকি ফরমান মোদী সরকারের
BBC-এর ডকুমেন্টারি ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-কে কেন্দ্র করে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। ওই তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে ২০০২ সালের গুজরাত হিংসায় জড়িত ছিলেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো বেকায়দায় বিজেপি, তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকারও। বিরোধী নেতানেত্রীরা ইতিমধ্যেই ওই তথ্যচিত্রের ইউটিউব লিঙ্ক এবং বিভিন্ন ক্লিপিংসকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। এ জিনিস রুখতে মরিয়া মোদী সরকার, ফের এক তুঘলকি পদক্ষেপ করল। শেষপর্যন্ত অনলাইনে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারির পথেই এগোলো মোদী সরকার। মোদী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই তথ্যচিত্র বিষয়ক কোনও পোস্ট বা তথ্যচিত্রের ক্লিপিংস ইউটিউব এবং টুইটারে দেখানো যাবে না। কেউ পোস্ট বা শেয়ার করলে, অবিলম্বে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। ফেসবুককেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মোদীকে আক্রমণ করে ওই তথ্যচিত্রের ইউটিউব লিঙ্ক টুইট করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা তথা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনসহ বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। গতকাল তৃণমূল সাংসদের টুইটটি মুছে দিয়েছে টুইটার। এই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত প্রায় ৫০ জনের টুইট মুছে দেয় টুইটার। এই ঘটনায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যসভার সাংসদ।
মোদী সরকার সদ্যই আইটি বিধির খসড়া সংশোধনী প্রকাশ্যে এনেছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও খবরকে মোদী সরকার ‘ভুয়ো’ ঘোষণা করলে, সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে দিতে হবে। খসড়া বিরুদ্ধে এডিটর’স গিল্ড সরব হয়েছে। কার্যত সেই নিয়ম কার্যকর হাওয়ার আগেই বিবিসির এই তথ্যচিত্রের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ হতে দেখা গেল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবিসির ইউটিউব চ্যানেল থেকে তথ্যচিত্রটি মুছে দেওয়া হয়েছে।