ইনফ্লুয়েন্সারদের জানাতে হবে পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জনের হিসেব, নয়া নির্দেশকা মোদী সরকারের
ব্র্যান্ড প্রোমোশন করে দেদার আয় করেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা। এবার থেকে পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য কে কত টাকা আয় করছেন তা সরকারকে জানাতে হবে ইনফ্লুয়েন্সারদের। পৃথিবীটা একটু একটু করে নেট দুনিয়ার হাতে বন্দি হয়ে পড়ছে, আজকের যুগে সমাজ মাধ্যমে যার যত ফ্যান-ফলোয়ার সে’ই রাজা। নেট দুনিয়ায় কোটি কোটি মানুষ যাদের অনুসরণ করেন, তারাই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। এদের কাজ থুড়ি কনটেন্টে রিচের বন্যা বয়ে যায়। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামে তাদের পেজ, প্রোফাইলে লাইক এবং ভিউ পাহাড়প্রমাণ। নানাবিধ কনটেন্টের ওপর ভিত্তি করে ভিডিও বানান তারা। নিজেদের কনটেন্টে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন করে তারা আয়ও করেন বিস্তর। এবার সেই ইনফ্লুয়েন্সারদেরই নিয়মের প্যাঁচে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে মোদী সরকার। আনা হচ্ছে নয়া নির্দেশিকা।
মোদী সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের। কোনও ইনফ্লুয়েন্সার যদি সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত নিয়ম মেনে না চলেন, সেক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যদি এমন অপরাধ বারবার করেন, তবে তাকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে। ২০ জানুয়ারি মোদী সরকারের তরফে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর তারিখে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল, তা তাদের মেনে চলতে হবে। ২৪ ডিসেম্বর তারিখের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, পোস্ট করা ভিডিও বা ছবিতে কোনও পণ্যের প্রচারের জন্য কত টাকা উপার্জন করেছেন সংশ্লিষ্ট ইনফ্লুয়েন্সার; তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে।
বলা হচ্ছে লোভের বশবর্তী হয়ে অনেক ইনফ্লুয়েন্সারই এমন কিছু পণ্যের বিজ্ঞাপন করেন যা তারা নিজেরাও ব্যবহার করেন না। কিন্তু তাদের ভিডিও দেখে, তাদের অনেক ফলোয়ারই সে’সব পণ্য ব্যবহার করতে আরম্ভ করেন। পণ্যের গুণাগুণ, গুণমান সম্পর্কে না জেনেই; এ’সব ব্যবহার করার ফলে অনেকের নানাবিধ ক্ষতি হয়েছে। এমন অনেক অভিযোগ কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে জমা পড়েছিল। সেই কারণেই নাকি এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।