রোহিত-শুভমনের ব্যাটের দাপটে একদিনের সিরিজের শেষ ম্যাচও হারল নিউজিল্যান্ড
ভারত- ৩৫৮/৯ (৫০)
নিউজিল্যান্ড- ২৯৫(৪১.২)
আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। ফলে মঙ্গলবার কার্যত নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটারদের দাপটে নিউজিল্যান্ডকে ৯০ রানে পরাজিত করল রোহিত বাহিনী। বিরাট রানের বোঝা মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই হারাতে হয়েছিল উইকেট। ডেভন কনওয়ে পাল্টা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত পারল না কিউয়িরা। ভারতের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হারল নিউজিল্যান্ড।
৩৮৬ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে এবং হেনরি নিকোলস। ৪২ রানে নিকোলস ফেরেন কুলদীপের বলে। এর পর ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে। মিচেল ফেরার পর ভরসা ছিল শুধু কনওয়ের উপরেই। কিন্তু তিনি উমরান মালিকের বলে আউট হতে নিউ জ়িল্যান্ডের আশা শেষ হয়ে যায়। পরের দিকে কোনও ব্যাটারই বিরাট রান তোলার মতো লড়াই দিতে পারেননি। ভারতের হয়ে তিন উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর, যিনি এক বার হ্যাটট্রিকের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। কুলদীপও তিনটি উইকেট পেয়েছেন।
এদিন ইনদওরে শুরু থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা ছিলেন মারকুটে মেজাজে। দুই ওপেনার গিল ও রোহিতের সেঞ্চুরির দৌলতে ৩৮৫ রান করে ভারত।
এই ম্যাচে রিকি পন্টিংয়ের সেঞ্চুরি কীর্তি স্পর্শ করলেন রোহিত। পন্টিংয়ের ৩০টি সেঞ্চুরি করতে ৩৭৫টি ম্যাচ নিয়েছিলেন। রোহিত সেই কীর্তি গড়লেন ২৪১টি ম্যাচে। তালিকায় সবার উপরে শচীন। তাঁর ৪৯টি ওয়ান ডে সেঞ্চুরি রয়েছে। কোহলির ৪৬টি সেঞ্চুরি, রোহিত তৃতীয় স্থানে। ২০১৯ সালের পরে ফের সেঞ্চুরি পেলেন রোহিত।
ক্রিজের অন্যদিকের একই ছন্দে ছিলেন শুভমন গিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর গত ম্যাচেও অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। নিজের স্বপ্নের ফর্ম ধরে রেখে মঙ্গলবার ফের শতরান করলেন। সেই সঙ্গে বিরাট কোহলির নজির ভেঙে নয়া রেকর্ডও গড়েন শুভমন। একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড ছিল বিরাট কোহলির। চলতি বছরেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু’টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ২৮৩ রান করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার হাফ সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে সেই রেকর্ড পেরিয়ে গেলেন শুভমন। তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বাধিক ৩৬০ রান করার নজির ছিল বাবর আজমের। সেই রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেললেন শুভমন।
২৬ ওভার পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বোলারদের হতাশ করে রেখেছিলেন রোহিত-গিলরা। ১০১ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। দলীয় ২১২ রানের মাথায় শতরানকারী রোহিতের উইকেট ফেলে প্রথম সাফল্য নিউজিল্যান্ডের। ব্রেসওয়েলের বলে বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন। ওভারের শেষ বলে রোহিতের পথ অনুসরণ করেন আরও এক শতরানকারী শুভমন গিল (৭৮ বলে ১১২ রান)। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ২৭ বলে ৩৯ রান বিরাট কোহলির। ঈশান কিষাণ (১৭), সূর্যকুমার যাদব (১৪) স্বল্প রানেই ফিরলেন। বিরাটের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন ঈশান। কিউয়িদের চাপ বাড়িয়ে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৮ বলে ৫৪ রান হার্দিকের। শার্দুল ঠাকুরের ব্যাটে ১৭ বলে ২৫ রান। সব মিলিয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান উঠল ভারতের খাতায়।
এদিন নজিরই গড়লেন নিউ নিউজিল্যান্ডের জোরে বোলার জ্যাকব ডাফি। মঙ্গলবার ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন তিনি! তাঁর সেঞ্চুরি হল ভারতের ইনিংসের মাঝেই। ১০ ওভার বল করে ডাফি দিলেন ১০০ রান।