এক রাশ হতাশা লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য, গোয়ার কাছে ৪ গোল খেল ইস্টবেঙ্গল
এফসি গোয়া–৪
ইস্টবেঙ্গল-২
ফের ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য এক রাশ হতাশা। আইএসএলে আরও একটি ম্যাচে হারল তারা। স্টিভেন কনস্টানটাইনের দল এফসি গোয়ার কাছে ২-৪ গোলে হারল এবার। ম্যাচ জিতে তিন নম্বরে উঠে এল গোয়া। যার ফলে চার থেকে পাঁচ নম্বরে নেমে গেল এটিকে মোহনবাগান।
যদিও এদিন ম্যাচের আগেই মিলেছিল সুখবর। ইস্টবেঙ্গলের উপর থেকে ট্রান্সফার ব্যান তুলে নেবার কথা জানিয়ে দিয়েছিল ফিফা। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টিকল না। এফসি গোয়ার কাছে হারতে হল লাল-হলুদকে।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যান ইকের। খেলার ১১ মিনিটে। আইএসএলে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন ইকের। প্রথম গোলের মিনিট দশেকের মধ্যে অর্থাৎ ২১ মিনিটে ফের গোল। আবার ইকের। দু’মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান ৩-০ করেন সেই ইকেরই। খেলা শুরুর পর এত অল্প সময়ের মধ্যেই অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিক করে ফেলেন তিনি। এরপরই কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ফলাফল কোন দিকে গড়াবে। প্রথমার্ধে অবশ্য আর গোল হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ৫৩ মিনিটে গোল করে যান ব্র্যান্ডন। ফলাফল দাঁড়ায় ৪-০। যেন পেট ভরছে না লাল-হলুদ রক্ষণের। এ বারের আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে ৩১টি গোল খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পয়েন্ট তালিকার একেবারে শেষে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেড একমাত্র তাদের থেকে বেশি গোল খেয়েছে (৪১টি)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোয়ার হয়ে চতুর্থ গোল করেন ব্রেন্ডন ফের্নান্দেস। তাঁর বাঁক খাওয়ানো ফ্রিকিক কমলজিৎকে পরাস্ত করে গোলে গিয়ে ঢোকে। দেখে মনে হচ্ছিল, আরও লজ্জা অপেক্ষা করছে ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু ৫৯ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন ভিপি সুহের। বাঁ প্রান্ত ধরে উঠে মহেশের ঠিকানা লেখা ক্রসে হেডে গোল করেন তিনি। ৬৬ মিনিটের মাথায় মহেশেরই কর্নার থেকে হেডে আর একটি গোল করেন সার্থক গোলুই।
এর পর ৩ ফেব্রুয়ারি কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। এখন দেখার সেই ম্যাচে খেলার ছবিটা তারা বদলাতে পারে কি না। জার্ভিসকে সই করানো এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু দলের যা পরিস্থিতি, তাতে একজন জার্ভিস কি এই অবস্থায় হারানো মনোবল ফেরাতে পারবেন লাল-হলুদে?