ত্রিপুরায় গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার বিজেপি, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই শুরু ‘বিদ্রোহ’
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2023/01/Picsart_23-01-29_08-38-02-672-1024x611.jpg)
ত্রিপুরায় গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিছুতেই এই সমস্যা মেটাতে পারছে না! আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে এই কোন্দল আরও প্রকট হয়ে উঠছে। ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর চণ্ডীপুরে পুড়ল দলীয় কার্যালয়। ভাঙচুর চলল একাধিক বুথ অফিসে। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে কৈলাশহর, বাগবাসা-সহ একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির প্রদেশ মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা দুঃখজনক। কারওর মুখ নয়, পদ্মফুলকে সামনে রেখেই আমাদের লড়াই।’
ত্রিপুরায় বিধানসভা আসন ৬০টি। তবে, শনিবার দিল্লি থেকে ৪৮টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিজেপি।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রাথমিকভাবে ১২টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি বিজেপি খোঁচা দিয়ে বলছে বিরোধীরা। তবে রাতের দিকে আরও ছয় আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। আরও একটি আসনে প্রার্থী খুঁজছে বিজেপি। পাঁচটি আসন তারা ছেড়ে রেখেছে প্রাক্তন জোটসঙ্গীর জন্য। এদিকে, বিজেপি প্রার্থীদের নাম জানাজানি হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরার নানাপ্রান্ত। সবচেয়ে বেশি গন্ডগোল হয়েছে ঊনকোটি জেলার চণ্ডীপুর কেন্দ্রে। এখানে দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় ভগবাননগর, গৌরনগর ও কাউলিকুড়ার বুথ অফিসে। এই কেন্দ্রে টিঙ্কু রায়কে টিকিট দিয়েছে পদ্মশিবির। যা দলের একটা বড় অংশ মেনে নিতে নারাজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে আসেন এডিপিও ধ্রুব নাথ। মোতায়েন করা হয় আধা সেনা।
দলবদলু বাম বিধায়ক মবস্সর আলিকে টিকিট দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির একাংশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছুটে যান কৈলাশহর থানার ওসি সঞ্জীব লস্কর। শুক্রবার গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন মবসসর। পরের দিনই প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঠাঁই পেয়েছে। ওই একই দিনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সুবল ভৌমিক। তাঁর ভাগ্যে শিকে না ছেঁড়ায় ক্ষুব্ধ সুবল অনুগামীরা।