দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

ইতিহাসকে ছোঁয়ার চেষ্টা! শ্রীরামপুরের নিশানঘাটে শুরু হল পশু-পাখির হাট

January 30, 2023 | < 1 min read

একদা গঙ্গাপাড়ের জনপদ শ্রীরামপুর ছিল ডেনিসদের ঘাঁটি। সালটা ১৭৫৫ হবে, সে’সময় দিনেমারদের পতাকা উড়ত শ্রীরামপুরে। তখন অবশ্য নাম ছিল ফ্রেডরিক নগর। সেই ফ্রেডরিক নগরের বহুচর্চিত নিশানঘাটের আশেপাশে ছিল ডেনিস কলোনি। বসত মশলা ও বয়নশিল্প সামগ্রির হাট। তারপর কেটে গিয়েছে সুদীর্ঘ সময়। ফের একবার উসকে উঠল সেই স্মৃতি। গতকাল অর্থাৎ রবিবার বসল আরেক হাট। এবার মশলা বা বস্ত্র সামগ্রী নয়। এবারের হাটের পণ্য বিদেশি পশু-পাখি ও মাছ।

ইতিহাসকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে এই উদ্যোগ নিয়েছে শ্রীরামপুর পৌরসভা। বাংলায় নদীর ধারেই বসত হাট। হুগলির শ্রীরামপুর ডেনমার্কের কলোনি হয়ে যাওয়ার পরও সেই প্রাচীন ঐতিহ্যের বদল হয়নি। ডেনিসরা নদীর পাড়ে প্রথম পতাকা তুলেছিল, পরবর্তীতে সেই ঘাটের নাম হয় নিশানঘাট। বিরাট হাট বসত সেখানে, বস্ত্র ও মশলার বিকিকিনি হত। সেসবই এখন স্মৃতি। নিশানঘাটের বাঁধানো গঙ্গাপাড়ের সেই ঐতিহ্যবাহী হাটের অনুকরণে পশুপাখির হাট করার উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। গতকাল, অর্থাৎ রবিবারের প্রথম হাটেই বিপুল ভিড় হয়েছিল। রবিবার নিশানঘাটের হাটে সারাদিনে প্রায় দশ হাজার মানুষ এসেছে। রঙিন মাছ, বিদেশি পাখি, ও নানান জাতের পোষ্য কুকুর দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। পুরসভার বক্তব্য, তারা পুরনো সময়টাকেই ফিরিয়ে আনতে চাইছেন। তদানিন্তন সময়ের হাটে যে পণ্যের বিকিকিনি হত, এখন আর তা প্রাসঙ্গিক নয়। তাই পোষ্য ও পশুর হাট শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও শ্রীরামপুর পুরসভার তরফে শহরের ঐতিহ্যকে নানাভাবে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একাধিক পুরনো স্থাপত্য সরকারি পরিকল্পনায় সংস্কার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার থেকে প্রতি রবিবার বসত বসবে। নতুন হাট কতটা জনপ্রিয় হবে, তার উত্তর দেবে সময়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Serampore, #Nishanghat, #Fair

আরো দেখুন