দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত ভোট, মৃতপ্রায় সংগঠনকে বাঁচাতে নয়া চেষ্টা BJPর
বঙ্গে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রাম দখলের লড়াইয়ে নামার আগে বিজেপির নজর গ্রামে। কিন্তু বাংলায় বিজেপির সংগঠন একেবারেই মৃতপ্রায়। দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ফের এক কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলছে, চব্বিশের লড়াইয়ে একেবারেই ভাল জায়গায় নেই গেরুয়া শিবির। এবার গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য গ্রামীণ ভোট ব্যাঙ্ক। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে, গ্রাম দখলের মরিয়া চেষ্টায় নামছে গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা এবার গ্রামের মানুষের মন বুঝতে ময়দানে নামছে। পঞ্চায়েত ভোট গ্রামের ভোট, সেই কারণেই বিজেপির নজর গ্রামীণ এলাকায়। যুব মোর্চা প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা ১৬৩টি গ্রামীণ বিধানসভা আসনকে টার্গেট করেছে। আগামী মাস থেকেই ‘দুয়ারে যুব মোর্চা’ কর্মসূচিতে নামছে যুব মোর্চা।
বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতিতে মোদী সীমান্ত এলাকার গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ মতো মাঠে নেমে পড়েছিল গেরুয়া নেতারা। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার দশ জেলার একাধিক গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার গ্রামে যাবেন বঙ্গের গেরুয়া নেতারা। এখনও জেলায় জেলায় বিজেপির বুথ কমিটি পর্যন্ত তৈরি হয়নি, বহু জায়গায় সংগঠন নড়বড়ে, সঙ্গে রয়েছে কোন্দল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কার্যত জেরবার বিজেপি।
মোদী সরকারের নির্দেশে এবার ১৬৩টি বিধানসভা এলাকার গ্রামীণ এলাকায় যাবে বিজেপি। একটিও পুরসভা নেই, বাংলায় এমন বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১৬৩। একুশের বিধানসভা ভোটে এই ১৬৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১২৬টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। বিজেপি জিতেছিল ৩৬টিতে। আইএসএফ ১টিতে। সাংগঠনকে উজ্জীবিত করতে, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ওই বিধানসভা এলাকাগুলিতে ঘরে ঘরে পৌঁছবে বঙ্গ বিজেপি। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে গ্রাম বাংলা সম্পর্ক অভিযান। ডোর টু ডোর ক্যাম্পেনের পাশপাশি, জেলায় জেলায় সাংগঠনিক বৈঠকও হবে। শোনা যাচ্ছে, জাতীয় স্তরের নেতারাও এই কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন। পঞ্চায়েতের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। গ্রামকে টার্গেট করে ঝাঁপাতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু গ্রামের মন কি জয় করতে পারবেন গেরুয়া নেতারা? এখন সে প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে।