ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম, সাজা ঘোষাণা হবে আজ
১০ বছর আগে সুরাটের বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, মোতেরার আশ্রমে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। সোমবার গুজরাতের গান্ধীনগরের এক আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০১৩ সালে এই ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল আসারামের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করতে পারে আদালত।
ওই মামলায় আসারামের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শিষ্যও অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা হলেন আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী। চার শিষ্যা ধ্রুববেন, নির্মলা, জাস্সি ও মীরা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ৭৭ বছর বয়সী ধর্মগুরুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়। প্রমাণের অভাবে আসারামের স্ত্রী-সহ ৬জনকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত।
সোমবার সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ২(সি) (ধর্ষণ), ৩৭৭ (অস্বাভাবিক অপরাধ) ধারায় আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বেআইনি ভাবে আটকে রাখার অভিযোগেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’’
উল্লেখ্য, অন্য একটি ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন হয়েছে আসারামের। তিনি এখন জোধপুর জেলে রয়েছেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে আসারাম এবং ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন সুরতের এক মহিলা। অভিযোগ করেন, তাঁকে জোর করে আটকেও রাখা হয়েছিল আশ্রমে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। বিচার চলাকালীন এক অভিযুক্ত মারা গিয়েছেন।