নতুন-পুরনো করকাঠামোর গোলক ধাঁধাঁ! জেনে নিন কর ছাড়ের পরিসংখ্যান
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে বড় অঙ্কের করছাড়ের ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হল। শুধু তাই নয়, আগে করছাড়ের সর্বোচ্চ পরিমাণ যেখানে ছিল ২ লক্ষ টাকা। সেটা এবার বাড়িয়ে করা হল ৩ লক্ষ টাকা।
তবে অনেকেই নতুন করকাঠামো এবং পুরনো করকাঠামো নিয়ে গোলক ধাধায় পড়েছেন অনেকে। বিষয়টি কী একটু বিষদে জেনে নেওয়া যাক-
২০২০-২১ সালের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন নতুন ছাড়যুক্ত আয়কর ব্যবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। যেখানে কম কর হার চালু করা হয়েছিল। তবে নতুন ঘোষণায় নতুন সিস্টেমের অধীনে, 0-২.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর সম্পূর্ণ আয়কর ছাড় রয়েছে। আড়াই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ৫ শতাংশ কর দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। যাদের আয় ৫ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা তাদের এখন ১০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। আবার সাড়ে সাত থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়কারীদের এখন ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। যাদের আয় ১০ থেকে ১২.৫০ লক্ষ টাকা তাদের ২০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। যাদের আয় ১২.৫০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তাদের ২৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, বার্ষিক ০ থেকে ৩ লাখ টাকা উপার্জনে কোনও কর দিতে হবে না। ৩ থেকে ৬ লাখ ইনকামে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ। ৬ থেকে ৯ লাখের জন্য কর দিতে হবে ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লাখ টাকা উপার্জনে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। আবার ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা বার্ষিক উপার্জনের জন্য ২০ শতাংশ ও হবে ১৫ থেকে ৩০ লাখের উপর ইনকামে ৩০ শতাংশের উপর কর দিতে হবে।
শুধু করে ছাড় দেওয়াই নয়। কারকাঠামো এবং আইটি রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়ারও সরলীকরণ করেছে নির্মলার সরকার। নতুন এই করকাঠামোয় ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে করদাতাদের। কিন্তু কেউ চাইলে পুরনো রীতিতেও কর দিতে পারেন। এদিন অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আয়কর ছাড়ের আওতায় এলে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে কোনও করই দিতে হবে না। ৯ লক্ষ পর্যন্ত রোজগার হলে কর দিতে হবে মাত্র ৪৫ হাজার টাকা। ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হবে।