শুরুর দিকের অগোছালো ভাবটা কাটিয়ে নিজস্ব ছন্দে কলকাতা বইমেলা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জমজমাট কলকাতা বইমেলা। গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সল্টলেকে কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বই নয় অজস্র শিল্পমাধ্যমের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এই মেলা প্রাঙ্গণ।
স্রেফ গান শুনতে দুপুর দুপুর সস্ত্রীক এসেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আশিস কর্মকার। সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকলেন। দীর্ঘক্ষণ বসে বসে শুনলেন বাউল গান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক ছাত্রছাত্রী এসেছিলেন মেলায় গান শুনতে ও বই ঘাঁটতে। যে স্টলে বাউল গান হচ্ছিল, তার কয়েক ফুট মাত্র দূরে একটি স্টলে হচ্ছিল ব্যান্ডের গান। মাঝে মাঝে তারস্বরে চলতে থাকা বাউল ও ব্যান্ডের গান মিলেমিশে যাচ্ছিল। তাতে একটু ব্যাঘাত ঘটছিল ঠিকই, তবে তা নিয়ে অনেকেই খুব একটা মাথা ঘামাননি। বাউল গান আর ব্যান্ডের গানের উল্টোদিকে আর একটি স্টলেও ছিল বাউল গানের আসর। সুর, তাল মিলেমিশে তৈরি হচ্ছিল এক নতুন ফিউশন। তাতে তিন গানই মিলেমিশে গুলিয়ে যাচ্ছিল। তখন একটু অস্বস্তি হচ্ছিল শ্রোতাদের। তবে এসবে খুব একটা আমল দেননি বইপ্রেমীরা। সবমিলিয়ে এখানে একতারা, সেখানে গিটার, ওখানে বাঁশির সুরে এক অন্য আবহ তৈরি হয়েছিল বইমেলা প্রাঙ্গণে।
শুরুর দিকের অগোছালো ভাবটা কাটিয়ে ছেচল্লিশতম বইমেলা নিজস্ব ছন্দে ফিরেছে। ভিড় বাড়ছে। শনি, রবিবার রেকর্ড ভিড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গিল্ড। কারণ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হওয়ার পরে প্রথম বার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা হচ্ছে সল্টলেকে। ফলে শহরতলি থেকে শিয়ালদহ হয়ে সল্টলেকে আসার পথ অনেকটা সহজ হওয়ায় সপ্তাহান্তে মেলায় ভিড় বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বইমেলার কথা ভেবেই দৈনিক ১০৬টি ট্রেনের জায়গায় সোম থেকে শনিবার ১২০টি ট্রেন চালানো হচ্ছে। ওই দিনগুলোয় দুপুর থেকে রাত সওয়া ন’টা পর্যন্ত ১২ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। রবিবারেও দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ৮০টি ট্রেন চলবে। তবে প্রায় ১৫ মিনিট অন্তর। প্রয়োজনে বাড়তি ট্রেন চালানোর প্রস্তুতিও তারা রাখছে বলে মেট্রোর দাবি। করুণাময়ী স্টেশনে প্রবেশ-প্রস্থানের পথে যাতে অস্বাভাবিক ভিড় না হয়, তা নজর রাখতে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।