দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেনের চেহারা কি বদলে যাচ্ছে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: টয়ট্রেন মানেই একটা আলাদা রোমাঞ্চ। দার্জিলিংগামী পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এই টয়ট্রেনই। কারণ গোটা দেশে মাত্র দু’জায়গায় এমন টয়ট্রেন চলে। যার মধ্যে হেরিটেজ তকমা দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেনেরই রয়েছে।
আরাধনা ছবিতে শর্মিলা ঠাকুরের উদ্দেশে ‘স্বপ্ন কী রানি’ গেয়েছিলেন সুপারস্টার রাজেশ খান্না। যদিও আদতে দার্জিলিং পাহাড়ই হল বাঙালির স্বপ্নের রানি। পাইন বনের গা বেঁয়ে লুকোচুরি পথ, চা বাগান, মনেস্ট্রি, দার্জিলিং ম্যালে বসে দার্জিলিং চায়ে চুমুক, প্রবল শীতে কাঁপতে কাঁপতে টাইগার হিলের সূর্যোদয়, সেইসঙ্গে কুয়াশা ও মেঘের খেলা, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঙালিকে মগ্ধ করে চলেছে। তবে দার্জিলিং বললেই আরও একটি বিষয় নিমেষে চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা হল টয়ট্রেন।
বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর থেকে এই টয়ট্রেন নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ, বাজেটে (Union Budget) পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেনের কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যাকে কেন্দ্রের তরফে ‘বন্দে মেট্রো’ও বলা হচ্ছে। এদিনই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইট করে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হাইড্রোজেন ট্রেনের চাকা গড়াবে দেশের মাটিতে। প্রাথমিকভাবে নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে রুটে চলবে দূষণহীন এই ট্রেন। সূত্রের খবর, পরবর্তী ধাপে দার্জিলিং পাহাড়েও ছুটবে হাইড্রোজেন ট্রেন। অর্থাৎ দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান রেলওয়ে রুটে দেখা যাবে এই ট্রেনকে।
এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি বদলে যাবে টয়ট্রেনের চেহারা? ইউনেস্কো দার্জিলিংয়ের যে হিমালয়ান রেলওয়েকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দিয়েছে, তার চেহারা বদল কী আদৌ সম্ভব? বুধবারের পর থেকে এরকমই নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে টয়ট্রেন নিয়ে।