মোদী ‘ঘনিষ্ঠ’ আদানীকে বাঁচাতেই কি এবার আসরে নামল আরএসএস?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে ধস নামার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় মেঘ জমেছে দেশের আমজনতার মনে। ধনকুবের গৌতম আদানী ছিটকে গিয়েছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ ধনীর তালিকা থেকে। দ্রুত কমেছে সম্পদের পরিমাণ। আমেরিকার শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর ভিত নড়ে গিয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট আদানী গোষ্ঠীর। প্রতিদিন নিয়ম করে পড়ছে গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম। বিনিয়োগ নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন কোটি কোটি বিনিয়োগকারী। এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো জনসাধারণের অর্থ বিনিয়োগ বা গচ্ছিত রাখার প্রতিষ্ঠানেরও ঋণ বা বিনিয়োগ রয়েছে আদানী গোষ্ঠীতে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব কেন? সংসদেও বিরোধীরা আদানী ইস্যুতে সরব হয়েছে। এই বিষয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছে। এই অবস্থায় আদানীদের হয়ে ব্যাট ধরল আরএসএস! তাদের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বামপন্থীরা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ‘নেগেটিভ’ প্রচার চালাচ্ছে।তাদের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বামপন্থীরা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ‘নেগেটিভ’ প্রচার চালাচ্ছে।
আরএসএসের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতীয়দের একটি লবি আদানিদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক গল্প বানিয়ে তা প্রচার শুরু করেছে। এই লবিতে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন কিছু মানুষের পাশাপাশি রয়েছে এক বড় বামপন্থী নেতার সাংবাদিক স্ত্রীও। আরএসএসের মতে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট থেকেই এই হামলা শুরু হয়েছে ভাবলে ভুল হবে। প্রতিবেদনে আরএসএসের দাবি, ২০১৬-১৭ সাল থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আরএসএসের দাবি, তা শুরু হয়েছে ভারত নয়, বরং অস্ট্রেলিয়া থেকে। লেখা হয়েছে, ‘‘শুধুমাত্র গৌতম আদানিকে বদনাম করতে অস্ট্রেলিয়ার একটি এনজিও একটি ওয়েবসাইট পর্যন্ত খুলে বসেছে।’’
যদিও বারবার বিভিন্ন মহল থেকে উঠে এসেছে, মোদী সরকারের বদান্যতাতেই আদানীর এই বিপুল বৃদ্ধি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে মোদী-আদানীকে বাঁচাতেই কি আরএসএস এবার আসরে নামল?
অন্যদিকে, মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে গোটা কংগ্রেস। বার কংগ্রেস শুরু করল একটি সিরিজ। যার নাম ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’।