রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

প্রতিটি রাজ্যবাসীর কাছে সামাজিক প্রকল্প পৌঁছতে সোশ্যাল রেজিস্ট্রি শুরু রাজ্যের

February 12, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে যাবতীয় সামাজিক প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বাংলার সরকার। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কারও খাদ্যসাথী কার্ড রয়েছে, আবার কারও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, কেউ কেউ লক্ষ্মী ভাণ্ডার পাচ্ছেন না, বয়স্ক নাগরিকের পেনশনের অপেক্ষায়। এসব সমস্যা সমাধানে নয়া দাওয়াই নিয়ে এল রাজ্য। উদ্যোগের নাম কমন হাউসহোল্ড রেজিস্ট্রি বা সোশ্যাল রেজিস্ট্রি। এক কথায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পের উপভোক্তাদের যাবতীয় তথ্য একত্র করবে রাজ্য।

খবর মিলেছে, আগামী মার্চের মধ্যেই সে’কাজ শেষ করা হবে। প্রতিটি পরিবারের তথ্য যাচাই করা হবে, পরিবারের সদস্যরা কোন কোন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাও দেখে নেওয়া হবে। কেউ কোনও পরিষেবার তালিকা থেকে বাদ পড়লে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বস্তুত, বাংলার কোনও মানুষ আর বঞ্চিত হবেন না। ফলে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘোরার দিন শেষ হতে চলেছে। রাজ্যের বক্তব্য, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা গিয়েছে। এবার তাদের উদ্যোগ কেউ যাতে বাদ না পড়েন। সেই কারণেই নয়া ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। আগামী দু-মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য।

বাংলার সাড়ে নয় কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে। নয় কোটিরও বেশি মানুষ খাদ্যসাথীর সুবিধা পাচ্ছেন। এখন প্রায় দু’কোটি মহিলা লক্ষ্মী ভাণ্ডার পাচ্ছেন। এক কোটি স্কুলছাত্রী কন্যাশ্রীর আওতায়। আবার জয় বাংলা প্রকল্পে পেনশন পান বাংলা বয়স্ক নাগরিকরা। এই বিপুল সংখ্যক উপভোক্তাদের তথ্যভাণ্ডার একত্র করা কেউ কোথাও। পৃথক পৃথকভাবে রাজ্যের নানান দপ্তরে ছড়িয়ে রয়েছে। এসব তথ্য এক জায়গায় আনছে নবান্ন। তথ্য-প্রযুক্তি দপ্তরকে নোডাল দপ্তর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক কথায়, কমন হাউসহোল্ড রেজিস্ট্রিকে দুয়ারে সরকারের পরবর্তী ধাপ বলা যেতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #social registry, #Common household registry, #Govt project, #Govt schemes

আরো দেখুন