যোগীরাজ্যে প্রশাসনের মদতে মা-মেয়েকে ঘরবন্ধ করে পুড়িয়ে খুন? মধ্যযুগীয় বর্বরতা!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি:
আবারও মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল ডবল ইঞ্জিন উত্তরপরদেশ। উচ্ছেদ অভিযানের সময় উত্তরপ্রদেশের কানপুরের দেহাত জেলায় মা ও মেয়েকে কুঁড়েঘরে বন্ধ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল। মৃতরা হলেন ৪৪ বছর বয়সী প্রমিলা দীক্ষিত এবং তাঁর মেয়ে ২১ বছর বয়সী মেয়ে নেহা দীক্ষিত। স্থানীয় মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, স্টেশন হাউস অফিসার এবং একজন বুলডোজার অপারেটর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় খুনের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ-প্রশাসনের ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মাদাউলি গ্রাম। সেখানে একটি সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে গিয়েছিল পুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং রাজস্ব আধিকারিকরা। যদিও স্থানীয়রা বলছেন, যোগী সরকারের তরফে কোনও আগাম নোটিশ দেওয়া হয়নি। এরপরই আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠে। মৃতা প্রমীলা দীক্ষিতের ছেলে শিবম দীক্ষিতের অভিযোগ, বাড়ির ভিতরে তারা থাকাকালীনই, আগুন লাগানো হয়েছে। তিনি পালাতে পেরেছিলেন (শিবম দীক্ষিত)। তাদের মন্দির ভেঙে দিয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করছেন, পুলিশ-প্রশাসন কেউ কিছুই করেনি, এমনকি ডিএমও নয়। কেউ তার মাকে বাঁচাতে পারেনি। সাফ কথায় পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এতেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। পুলিশের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। যোগীরাজ্যের বিরোধীরা অর্থাৎ সমাজবাদী পার্টি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছে। তারা বলছেন, বিজেপি অবৈধ ক্ষমতা দেখানোর প্রতীক বানিয়ে ফেলেছে বুলডোজারকে।