পেশ হল রাজ্য বাজেট, ডিএ বাড়ল তিন শতাংশ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বুধবার বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ৩,৩৯,১৬২ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবিত হয়েছে। প্রত্যাশা মতোই একাধিক জনমুখি প্রকল্পে বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও এই অর্থবর্ষ থেকে আরও কিছু নতুন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। আজ, অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩% ডিএ বাড়তে চলেছে। মার্চ থেকেই এই বর্ধিত হারে ডিএ মিলবে। পেনশন প্রাপকরাও এই বর্ধিত ডিএ পাবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ৮.৪১% হারে রাজ্যে আর্থিক বৃদ্ধি হবে বলে অনুমান করা হয়েছে এবারের বাজেটে।
তবে এদিন প্রথমে বাজেট বক্তৃতায় ডিএ বৃদ্ধির কথা ছিল না। বাজেট বক্তৃতার শেষে একটি চিরকুট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নেওয়া চিরকুটটি অরূপ দিয়ে আসেন চন্দ্রিমাকে। এর পরেই ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা হয়। ডিএ’র বিষয় ঘোষণা হতেই উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্যদের।
পর্যাপ্ত বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে। জিএসটি রাজস্বে বৃদ্ধির হার ২৪.৪৬%। স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২% ছাড় ও সার্কুলার ডিউটিতে ১০% ছাড়ের মেয়াদ সেপ্টেম্বর অবধি বাড়ানো হয়েছে। যুবকদের জন্য ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ নামের নয়া প্রকল্প চালু হচ্ছে। এই প্রকল্পে ১৮-৪৫ বছর বয়সী যুবকদের ৫ লক্ষ অবধি ঋণ দেওয়া হবে। যার মার্জিন মানি হিসেবে ২৫ হাজার টাকা রাজ্য সরকার ভর্তুকি বাবদ প্রদান করবে ও ১৫% গ্যারান্টি দেবে।এছাড়াও বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ ৬০ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ লক্ষ টাকা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়েছে ২৫ শতাংশ। চালু হচ্ছে মৎস্যজীবী বন্ধু নামের নতুন প্রকল্প। মৎস্যজীবীদের অকাল মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বাবদ তাদের পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হবে। এছাড়াও নতুন রাস্তাশ্রী প্রকল্পের আওতায় ১১ হাজার ৫০০ কিমি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ হবে।
ষাটোর্ধ্ব যে সমস্ত মহিলারা বিধবা ভাতা পান না, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এবারের রাজ্য বাজেটে তাঁদের বরাদ্দ বাড়ল। ৫০০-র বদলে মাসিক এক হাজার টাকা পাবেন তাঁরা। সরাসরি পেনশনের আওতায় চলে আসবেন তাঁরা। এতদিন এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা ও অন্যান্য মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা পেতেন। তবে এই ভাতা পেতেন ২৫-৬০ বছর বয়সিরা। এবার সেই প্রকল্পের আওতায় এলেন ষাটোর্ধ্ব মহিলারাও।