‘শিশুদের মাঝে, শিশুদের সঙ্গে’, শিশু মন বুঝতে অভিনব উদ্যোগ পুলিশের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মনের অসুখকে আজও আমল দেয় না সমাজ। কিন্তু শরীরের চেয়েও মনের অসুখ যে আরও মারাত্মক, তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করাচ্ছে হাল আমলের একাধিক ঘটনা। বড়দের মতো ছোটরাও মনের অসুখে ভুগছে। ইঁদুর দৌড়ে হাঁপিয়ে উঠছে ওরাও। খেলাচ্ছলে শিশুদের কথা শুনেই এমন উদ্যোগ নিতে চলেছে সুন্দরবন জেলা পুলিশ। বাচ্চাদের আলোচনা শুনেই পুলিশ আধিকারিকরা বুঝতে পেরেছে, তাদেরও মন ভাল নেই। বিষয়টাকে হালকাভাবে নেননি পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিশুদের মন বুঝে তাদের সমস্যার সমাধান করবে পুলিশ। বাচ্চাদের জন্যে স্কুলে স্কুলে একটি করে ড্রপ বক্স রাখা থাকবে। মনের কথা চিরকুটে লিখে, সেই বক্সে ফেলবে স্কুলের বাচ্চারা। সেগুলি সমাধান করার চেষ্টা করবে পুলিশ।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার উদ্যোগে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিশুদের মাঝে, শিশুদের সঙ্গে’। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও গতকাল রায়দিঘির বকুলতলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শিশুদের মাঝে, শিশুদের সঙ্গে’ প্রকল্পের সূচনা করেন। মন্দিরবাজারের ডিএসপি বিশ্বজিৎ নস্কর, রায়দিঘি থানার আইসি অমিয় ঘোষসহ ওই স্কুলের শিক্ষকরা এদিন হাজির ছিলেন। এদিন বকুলতলা বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপহার দিয়েছে পুলিশ। গাছের চারাও দেওয়া হয়েছে ক্ষুদে পড়ুয়াদের।
কোটেশ্বর রাও-এর কথায়, বাচ্চারা অত্যন্ত সংবেদনশীল। ওদের মনের কথা বুঝতে হবে। ওদের অভিযোগকেও গুরুত্ব দিতে হবে। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার পর স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষক, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অনেকেরই মনে পড়বে কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর কথা।