বাঁকুড়া মা সংকট তারিণীর মেলা ও পেল্লাই সাইজের নাড়ুর গল্প
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাঢ়বঙ্গে মেলা, পুজো, পালা-পার্বণের যে সমৃদ্ধ বৈচিত্র দেখা যায়, তা আর কোনও জায়গায় দেখা যায় বলে মনে হয় না। যেমন বাঁকুড়ায় বসে মা সংকট তারিণীর মেলা। বাঁকুড়া জেলার সানবাঁধা পেরিয়ে ভূতেশ্বর বা ভূতশহরে মাঘ মাসের চতুর্দশীতে বসে মা সংকট তারিণীর মেলা। ভিড় জমান অজস্র মানুষ। ভূতনাথ মন্দিরে মা সংকট তারিণীর পুজো উপলক্ষ্যে শত শত মহিলা আসেন। মেলার বয়স ১৫০ বছরেরও বেশি।
পেল্লাই সাইজের নাড়ু দিয়ে মা সংকট তারিণীর পুজো দেওয়া হয়। মায়ের প্রসাদ হিসেবে অতিকায় নাড়ু নিবেদন করা হয়। কখনও কখনও ২ কেজিরও বেশি ওজনের হয় নাড়ুগুলো। নাড়ুগুলো পাহাড় নামে পরিচিত। ক্ষত্রিয় ব্রাহ্মণদের গ্রাম হল ভূতশহর। গ্রামবাসীদের অধিকাংশের পদবী রাঠোর ও চৌহান। অধুনা সেসব পদবী সিংহতে পরিণত হয়েছে। কথিত আছে, জনৈক গুরুদয়াল সিং বহু বছর আগে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজার থেকে মা সংকট তারিণীর ঘট নিয়ে এসেছিলেন। সংকট মোচন ও জমি সংক্রান্ত ঝামেলা থেকে রেহাই পেতেই গ্রামে শুরু হয় মা সংকট তারিণীর আরাধনা। আজ মা সংকট তারিণীর মেলা মহামিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে। কোনও বিগ্রহ এবং মন্দির ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে, মা সংকট তারিণী পূজিত হচ্ছে। গুড়ের পাহাড় অর্থাৎ নাড়ু দিয়ে গ্রাম ভূতশহরের মা সংকট তারিণীর মেলা, বঙ্গ সংস্কৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।