আতঙ্কের নয়া নাম অ্যাডিনো ভাইরাস, সংক্রমণ রুখতে কী কী করবেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোভিডের স্মৃতি ফিকে হতে না হতেই, ভয় ধরাচ্ছে আরও এক অনুজীব। এবার আতঙ্কের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। মূলত শিশুরাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তর তরফে নির্দেশিকা জারি করে অভিভাবকদের বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতকাল বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা।
অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে পাঁচটি জিনিস মেনে চলতে বলা হচ্ছে-
- অসুস্থ শিশুকে স্কুলে পাঠাবেন না।
- ভিড় এড়িয়ে চলুন।
- বাস, ট্রেন বা অন্যান্য জায়গায় মাস্ক পরুন।
- না জেনে বুঝে যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক নয়।
- জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
অন্যদিকে, অ্যডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসকদের ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে। পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটর, অক্সিজেনের জোগানে নজরদারির জন্য সিএমওএইচ, মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথাও বলা হয়েছে। কোভিডের মতোই ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ইলি এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগের তথ্য নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়াও চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন কত নতুন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, কতজনের মৃত্যু, নতুন-পুরোনো মিলিয়ে কতজন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে, পিকু, নিকু, সিসিইউ, এসএনসিইউয়ে কতজন রয়েছে, ভেন্টিলেটরে কতজন রয়েছে, সব তথ্য স্বাস্থ্যভবনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিকে।
অ্যাডিনো ভাইরাসে মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে, স্কুল থেকেই শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সর্বাধিক। ফলে স্কুলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। স্কুলে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আক্রান্তদের অধিকাংশেরই উপসর্গ এক, সেই জ্বর-সর্দি-কাশি-হাঁচি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জ্বর-সর্দি কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগেরই শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ধরা পড়ছে।