নবাবী ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে শুরু হচ্ছে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শুরু হতে চলছে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল। উৎসবের আয়োজন করে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে আজিমগঞ্জ, জিয়াগঞ্জ, কাশিমবাজার ও মুর্শিদাবাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে, পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি গড়ে উঠেছিল। অতীতকে সংরক্ষণ করা এবং আগামীর জন্যে ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। দেশের পর্যটন মানচিত্রে মুর্শিদাবাদকে ফিরিয়ে আনার জন্যেই উৎসবের পথচলা শুরু হয়েছিল। ২০১১ সালে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল প্রথমবারের জন্য আয়োজিত হয়েছিল। তিন দিনব্যাপী এই উৎসবটি মুর্শিদাবাদের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। হেরিটেজ ওয়াক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্থানীয় খাবারের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদকে তুলে ধরার চেষ্টা করে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল।
উৎসবের অঙ্গ হিসেবে, আজিমগঞ্জ প্রসাদ ও কাশিমবাজার রাজবাড়ির মতো শতাব্দী প্রাচীন রাজপ্রাসাদে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। বরানগরের পোড়ামাটির মন্দির, আজিমগঞ্জের জৈন মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থান উৎসবের অংশ হিসেবে ঘুরিয়ে দেখানো হয়। মুর্শিদাবাদের বারি কোঠি থেকে হাজারদুয়ারি পর্যন্ত ভাগীরথীতে নৌকা যাত্রাও রয়েছে। হাজারদুয়ারি, কাঠগোলা, জগৎ শেঠ হাউস, নশিপুর রাজবাড়ি, কাটরা মসজিদ এবং মুর্শিদাবাদের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি গাড়িতে করে ভ্রমণ করানো হয়।
এছাড়াও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়। স্থানীয় শিল্পগুলিও তুলে ধরা হবে। কারুশিল্প, তাঁতশিল্প, পাথরে খোদাই করা মূর্তি, কাঠের তৈরি মডেল, সিল্ক শাড়ি, শোলা শিল্প, ডোকরা শিল্প সামগ্রী ইত্যাদির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতে চলেছে। থাকছে নানান খাবারের ব্যবস্থা, বাঙালি, আওয়াধি এবং শেহেরওয়ালি খাবার রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জৈন-মারোয়ারিদের কল্যাণে পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতীয় রন্ধনশৈলী মিশে শেহেরওয়ালি রন্ধনপ্রণালীর জন্ম হয়েছে। নবাবী আমলের খাবারগুলোকেও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যালের দিনক্ষণ: ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি
খরচ: থাকা-খাওয়াসহ ২১,৫০০-২৪,৫০০ টাকা (কলকাতা থেকে কলকাতা প্যাকেজ)
থাকা-খাওয়া ছাড়া ৮,০০০ টাকা