করোনার প্রভাবে ভুগছেন অনেকেই, বাঙালি বিজ্ঞানির গবেষণায় নয়া তথ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিভিন্ন সংস্থার তৈরি করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছেন অনেকে। হার্ট-কিডনির অসুখের কথা বেশ কিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। এবার দোসর হয়ে দেখা দিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত রাগ, খিটখিটে মেজাজের মতো মানসিক সমস্যা। তা থেকে জন্ম নিচ্ছে হাইপারটেনশনের মতো রোগ। এমনই দাবি উঠে এসেছে এক বাঙালির সমীক্ষা-গবেষণায়।
সম্প্রতি ‘ভ্যাকসিন’ নামে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ইনস্টিটিউট অব ইন্টিগ্রেটিভ ওমিকস অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড বায়োটেকনোলজির বিজ্ঞানী দেবমাল্য বাড়ের এই সমীক্ষাপত্রটি। তাতেই দেখা গেছে হার্টের ব্যামো ছিল না, কিন্তু কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ধরা পড়েছে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। কেউ আবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। কারও কিডনি ব্যাপক রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যৌন অক্ষমতার উদাহরণ তো মিলেছে আকছার। বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য নজির তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা।
দেবমাল্যবাবু জানিয়েছেন, শুধু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনির অসুখ নয়, বহু রোগের সঙ্গে সম্পর্ক মিলছে বিভিন্ন টিকার। কোনও কোনও ভ্যাকসিন মনের উপরে প্রভাব ফেলছে। তার হাত ধরে আসছে মানসিক চাপ, হাইপারটেনশন, ডিপ্রেশন বা আরও কোনও জটিল রোগ। তবে, এর কারণ এখনও জানা যাচ্ছে না। আবার টিকা নেওয়ার সঙ্গে এই রোগগুলির সূত্রপাত যে নিছক কাকতালীয়, সেটাও তত্ত্বগতভাবে বলা যাবে না। রিপোর্টেড কেসগুলির মধ্যে অধিকাংশ মানুষ টিকা নেওয়ার পর সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়েছেন। দেবমাল্যবাবু নিজেও সেই তালিকায় পড়েন। কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।
শুধু এই বঙ্গসন্তান নন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব, জর্ডন, বসনিয়া ও ব্রাজিলের বিশ্ববিদ্যালয় তথা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরাও এব্যাপারে একমত। ফলে বোঝা যাচ্ছে, এতদিন ধরে চায়ের দোকানে, পাড়ার আড্ডায়, বাসে-ট্রেনে টিকার ‘অপকারিতা’ নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেই জল্পনা একেবারেই অমূলক নয়। নিষ্কৃতির উপায় হিসেবে প্রত্যেক মানুষের জন্য ব্যক্তিগত টিকার মাত্রা নির্ধারণ জরুরি বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।