মোদী মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে চলেছে, কারা মন্ত্রিত্ব হারাতে চলেছেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী মন্ত্রিসভার রদবদল শীঘ্রই হতে পারে বলে খবর। জানা যাচ্ছে,মন্ত্রিাসভার রদবদলের ক্ষেত্রে তিনটি ফর্মুলার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত মন্ত্রিসভার গড় বয়স ক্রমেই কমিয়ে আনা হচ্ছে। ২০১৪ সালের পর ৭৫ বছর বয়সিদের মন্ত্রিসভা এবং প্রত্যক্ষ রাজনীতির ময়দান থেকে ক্রমেই বিদায় দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এবার টার্গেট ৭০ বছর বয়স। আগামী লোকসভা ভোটে সিংহভাগ ৬০ বছরের মধ্যেই প্রার্থী করা হবে। কিছু ব্যতিক্রম থাকবে। আর তার আগে আসন্ন মন্ত্রিসভার রদবদলে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত পারফরম্যান্স। অর্থাৎ কোন মন্ত্রক বিগত বছরগুলির বাজেটে বরাদ্দ হওয়া অর্থ কতটা ব্যয় করতে পেরেছে। আর একইভাবে কোন মন্ত্রক সরকারের প্রকল্পগুলির প্রচার কতটা ইতিবাচকভাবে করতে পেরেছে।
তৃতীয়ত মন্ত্রী হওয়ার সুফল সংশ্লিষ্ট এলাকা বা রাজ্য কতটা পেয়েছে। এই পারফরম্যান্স ভিত্তিক সমীক্ষা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তৈরি করছে।
আপাতত এই রদবদল নিয়ে মোদী মন্ত্রিভায় চলছে জোর জল্পনা, অনেকের মধ্যে রয়েছে আশঙ্কা ও আতঙ্কও। কারা বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পরবেন এবং কারা সুযোগ পাবেন তা নিয়ে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা কোনও উচ্চবাচ্য করছেন না। তবে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক হয়েছে এই তিনজনের। সবথেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসছেন সত্তরোর্ধ্ব অথবা সত্তর বছর বয়সের নিকটবর্তী চলে যাওয়ার মন্ত্রীদের নাম।
অন্তত আটজন এরকম মন্ত্রীর অবস্থান বেশ নড়বড়ে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, ভি কে সিং, অশ্বিনী চৌবে, পুরষোত্তম রূপালা, গিরিরাজ সিং, রাও ইন্দরজিৎ সিং, রাজকুমার রঞ্জন সিং, হরদীপ সিং পুরী প্রমুখ। দল অথবা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই মন্ত্রীদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে অথবা তাঁদের প্রতি মোদি বিরক্ত এরকম নয়। জানা যাচ্ছে, তাঁদের আগামী দিনে রাজ্যপাল অথবা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
পাশাপাশি কমবয়সি হওয়া সত্ত্বেও কয়েকজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনের কাজে ব্যবহার করতে নিজেদের রাজ্যে পাঠানো হবে।