অ্যাডিনো ভাইরাস: আতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি নির্দেশিকা, জেনে নিন তথ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শহরে মাথাচাড়া দিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ। সংক্রমণ রুখতে তৎপর পুরসভা। গতকাল পুরকর্মীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও বলা হয়েছে, শিশুদের ভাইরাল জ্বরের সংক্রমণ রুখতেই এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় মেডিক্যাল অফিসার, নার্স, ফার্মাসিস্ট, ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবক ও আশা কর্মীদের পৃথক পৃথকভাবে দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে সচেতনতামূলক প্রচার করতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। কোনও অসুস্থ শিশু পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে, শিশুটির শারীরিক অবস্থা বুঝে চিকিৎসা বাড়িতে রেখে করা হবে, না হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের। স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের অসুস্থতা প্রসঙ্গে জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অসুস্থতার খবর মিললে, তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসার বন্দোবস্তও করতে হবে স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের। ফার্মাসিস্টদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের অনুমতি ছাড়া তাঁরা যেন কাউকে কোনও ওষুধ না দেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে যত দ্রুত সম্ভব পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ল্যাবেরটরি টেকনোলজিস্টদের।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিশু অসুস্থ হলে বাড়িতে ফেলে রাখা যাবে না। জ্বরে আক্রান্ত হলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অসুস্থ শিশুকে ডাক্তার না দেখিয়ে দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়াতে নিষেধ করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরীর কথায়, শিশুরা অসুস্থ হলেই তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে সে চিকিৎসক পাবে, পাশাপাশি তার কী হয়েছে, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখাও সম্ভব। বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার বন্দোবস্তও থাকবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। জনসচেতনতা ছাড়া কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব না। তাই পরিষেবার পাশাপাশি, সচেতনতা বাড়াতে প্রচারও চালাবে পুরসভা।