হরমনপ্রীতের অধিনায়কোচিত অর্ধ শতরানের পরও Semi Final-এই শেষ ভারতের যাত্রা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শেষরক্ষা হল না। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হল ভারতকে। অসুস্থ শরীরে মাঠে নেমে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে হরমনপ্রীত কৌর দলকে প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আউট হতেই শেষ খেলা। আরও এক বার ট্রফি ছাড়াই দেশে ফিরছে ভারতীয় দল।
অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে করেছিল ১৭২/৪। বিনিময়ে ভারতের মেয়েরা করতে পেরেছেন শেষমেশ ১৬৭/৮। ভারতের হয়ে দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত অসুস্থ অবস্থাতেও দারুণ লড়াই করেছেন। তিনি আউট হন ৫২ রানে। পাশাপাশি জেমিমা রডরিগেজ ৪৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
আসলে এদিন জঘন্য বোলিং, ততোধিক খারাপ ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হল ভারতকে। সেমিফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ টস হেরে যান ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত। বল করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং ভারতীয় বোলারদের। যে রেণুকা ঠাকুরের উপর দায়িত্ব ছিল পাওয়ার প্লে-তে ভারতকে ভাল শুরু দেওয়ার সেই রেণুকা প্রথম বলটাই ফুলটস করলেন। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ইয়ান হিলি ও বেথ মুনি সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া।
১৪ ওভারে ৯৯ রান হয়। দেখে মনে হচ্ছিল, ১৫০-র মধ্যে আটকে রাখা যাবে অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু শেষ ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার মতো খেলল অস্ট্রেলিয়া। প্রতি ওভারে বড় শট মারতে থাকেন ল্যানিং ও অ্যাশলি গার্ডনার। ল্যানিংয়ের একটি স্টাম্প ফস্কান রিচা। ফিল্ডিংয়েও ভুল করতে থাকে ভারত। ফলে দ্রুত রান ওঠে। শেষ ওভারে রেণুকা দেন ১৮ রান। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
জবাবে ভারতীয় ইনিংসের শুরুটা খুব খারাপ হয়। মাত্র ৪ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় তারা। প্রথমে মেগান শুটের বলে এলবিডব্লিউ হন শেফালি বর্মা। ৯ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই স্মৃতি মন্ধানাকে ২ রানের মাথায় সাজঘরে পাঠান গার্ডনার। ৪ রান করে রান আউট হয়ে যান যস্তিকা ভাটিয়া। কিন্তু সেখান থেকে অধিনায়ক হরমনপ্রীতের সঙ্গে জুটি বাঁঝেন জেমাইমা। দু’জনে প্রতিআক্রমণ শুরু করেন। ভারতীয় ব্যাটারদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে কিছুটা অবাক হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়াও। প্রতি ওভারে বড় শট মারছিলেন ভারতের দুই ব্যাটার। জরুরি রানরেট সাধ্যের মধ্যেই ছিল। ৫০ রানের জুটি বাঁধেন তাঁরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হয়ত এদিন ভাগ্যদেবীও সহায় ছিলেন না হরমরমনপ্রীতদের।