বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

জানেন কী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যুর নেপথ্যে কারা ছিলেন?

February 27, 2023 | 2 min read

ভগত সিং- এর মৃত্যুদন্ড ঘোষণা হওয়ার পরে স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদ খুব বিচলিত হয়ে পড়েন। ভগত সিং এর ফাঁসি আটকাতে তিনি ব্রিটিশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত  নেন, আর সে কারণেই মহাত্মা গান্ধীর সাথে দেখা করতে চান। কিন্তু মহাত্মা গান্ধী তাঁর সাথে দেখা করতে অস্বীকার করেন, বলেন যে তিনি কোনো উগ্রবাদীর সাথে দেখা  করতে পারবেন না।

গান্ধী জানতেন যদি ভগত সিং এবং চন্দ্রশেখর আজাদ এর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী বেশীদিন জীবিত থাকেন এবং তাদের কার্য্যকলাপ চালিয়ে যান তাহলে তাঁরাই হয়ে উঠবেন আগামি ভারতের নেতা। সুতরাং মহাত্মা গান্ধী ভগত সিং এর ফাঁসির আটকানোর কোন চেষ্টাই করলেন না বরং তিনি নির্ধারিত দিনের আগে যাতে ফাঁসি কার্য্যকর হয় সেই চেষ্টা করলেন।   

এবার চন্দ্রশেখর আজাদ জহরলাল নেহেরু-এর সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ২৭ ফেব্রুয়ারী, ১৯৩১ সাল, চন্দ্রশেখর পণ্ডিত নেহেরু-এর সাথে দেখা করেন। সেইদিন নেহেরুর সামনে চন্দ্রশেখর আজাদ ভগত সিং-এর ফাঁসি স্থগিত করার আবেদন করেন। বৈঠকে চন্দ্রশেখর আজাদ নেহেরুকে ভগত সিং কে বাঁচানোর পুরো পরিকল্পনা জানান। যা দেখে নেহেরু বিপদে পড়ে যান, কারণ তিনিও চাননি ভগত সিং বেঁচে যাক। নেহেরু সাহায্য করতে অস্বীকার করেন, হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। বিরক্ত চন্দ্রশেখর আজাদ বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাইকেলে চেপে অলফ্রেড পার্কের  উদ্দেশ্যে চলে যান।   

পার্কে বিশাল পুলিশ বাহিনী তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে, পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে এসেছিল যেন তারা আগে থেকে জানত যে চন্দ্রশেখর আজাদ এই পার্কে বসে আছে। শেষ নিশ্বাস অবধি লড়ে যান পুলিশের সাথে। পুলিশের তাঁকে জীবিত ধরার সাধ পূরণ হয়নি।  নিজের গুলিতেই আত্মঘাতী হন চন্দ্রশেখর আজাদ। 

খুব সহজেই বোঝা যায় সেদিনের চন্দ্রশেখর যে পার্কে আছে সেই খবর পুলিশকে দেওয়ার নেপথ্যে কে ছিলেন! তাঁরাই পেয়ে গেলেন রাজ্যপাট আর চন্দ্রশেখরের মতো শহীদদের ইতিহাসের পাতায় উগ্রবাদী তকমা দেওয়া হল।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Chandrasekhar Azad

আরো দেখুন