ঝড়ের গতিতে বাড়ছে ডিজিটাল ভার্টিগো, আপনি আক্রান্ত নন তো?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গোটা পৃথিবীটাই এখন ফোনের স্ক্রিন আর কম্পিউটার মনিটরের হাতে বন্দি। সমাজ মাধ্যমের দিকে তাকিয়েই কেটে যাচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা সময়। করোনাকাল এ জিনিসকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই ডেকে আনছে বিপদ। তরুণ-তরুণীরা ভুগছেন ডিজিটাল ভার্টিগোতে। কোনও কাজ করছেন, হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে গেল। শুয়ে শুয়ে মোবাইলে সিনেমা দেখছেন বা ফেসবুক স্ক্রল করছেন, মনে হল ঘরটা যেন ঘুরতে আরম্ভ করেছে। এগুলি ভার্টিগোর উপসর্গ। যা শারীরিক ভারসাম্যের বিঘ্ন ঘটায়।
যদিও সাধারণ মাথা ঘোরা ও ভার্টিগোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ভার্টিগো এমন এক ধরণের মাথা ঘোরা যেখানে মনে হয়, স্থির থাকা সত্ত্বেও চারপাশের পরিবেশ যেন ঘুরছে। অন্যদিকে, মাথা ঘুরলে শরীরের ভারসাম্যহীনতা বোধ হয়। এই অবস্থার লক্ষণগুলো হল, হালকা মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, শুনতে সমস্যা, দেখতে অসুবিধা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
ভেস্টিবুলার সিস্টেমের সমস্যা হলেই ভার্টিগো হয়। যে’সব স্নায়ু দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে, সেগুলির সমস্যা হলেই ভার্টিগো হতে পারে। ভার্টিগোর নানান কারণ রয়েছে, অতিরিক্ত স্ট্রেস এর অন্যতম কারণ। কানের ভিতরের অংশে সংক্রমণ অর্থাৎ ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস ভার্টিগোর অন্যতম কারণ হতে পারে। মেনিয়ারের মতো কানের অসুখের ক্ষেত্রেও ঘন ঘন ভার্টিগো হতে পারে। মস্তিষ্কের যেকোন রোগের সঙ্কেত হতে পারে ভার্টিগো। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলেও ভার্টিগো হতে পারে। লাগাতার ফোনের ব্যবহারও ভার্টিগো ডেকে আনছে, সেটাই ডিজিটাল ভার্টিগো নামে পরিচিত। এই রোগে ফোন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। বেশ সময় ধরে ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা।