প্রযুক্তি বিভাগে ফিরে যান

চ্যাটজিপিটি, এমন এক বন্ধু যে অচিরেই ডেকে আনতে পারে বিপদ?

March 2, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চ্যাটজিপিটি এই নামটার সঙ্গে নিশ্চয়ই পরিচিত আপনি? হাল-আমলে লাগাতার এটি উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে চায় মানুষ। সেই কারণেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এত বাড়বাড়ন্ত। আরও স্বস্তি পেতে চায় মানুষ। নিজের কাজ কমাতে চায়। সেই কারণেই চ্যাটজিপিটির জন্ম। কিন্তু জিনিসটি আপনার বন্ধু হয়ে উঠতে পারে, আবার সে এমন বন্ধু যে ডেকে আনতে পারে বিপদও। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি প্রিভিউ ভার্সন হিসেবে চ্যাটজিপিটি চালু করা হয়েছে। চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের উত্তরসূরি। আদপে এটি এক ধরনের ভাষা মডেল। যা আপনাকে লিখতে সাহায্য করবে, বলা ভাল লিখিয়েই দেবে।

এক নজরে দেখে নিন চ্যাটজিপিটির সাহায্যে আপনি কী কী করতে পারেন?

১) চ্যাটজিপিটি হয়ে উঠে পারে আপনার লেখার সঙ্গী। লিখতে বসে আপনি ভেবে পাচ্ছেন না কী লিখবে, হাতে সময় কম বা বিষয়বস্তু খুঁজে পাচ্ছেন না; সব মুশকিল আসান করে দেবে চ্যাটজিপিটি। টাইপ করার খাটুনি নেই।
২) তথ্য বিশ্লেষণে চ্যাটজিপিটির জবাব নেই। কী-ওয়ার্ড দিয়ে দিন, ব্যস্ আপনার কাজ শেষ! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে হাজির করবে তথ্য।
৩) কোডিং নিয়েও কেল্লাফতে করতে ওস্তাদ এটি। কোডিং লিখতেও পটু চ্যাটজিপিটি।
৪) দিনের সব কাজ-কর্মের রুটিন বানাতে পারে চ্যাটজিপিটি। খাওয়া-দাওয়া থেকে আরম্ভ করে সব কিছু, একদম সময় অনুযায়ী বেঁধে ফেলতে পারে।
৫) একে গুগলের পরিবর্ত হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনটাই কেউ কেউ দাবি করছেন।

কিন্তু জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার তাগিদে এসব উপাদানের ব্যবহার জীবনকে আরও সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছে না তো? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আপনার হয়ে যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কথা বলে বা কোনও লেখা লিখে দেয়, সেক্ষেত্রে কী মানবসভ্যতা বিপদের মুখে এসে দাঁড়াবে না? ক্রমশ কমে আসবে ভাবার শক্তি। কথা বলতে, ভাবতে ভুলে যাবে মানুষ। এখানেই চ্যাটজিপিটি অ্যালফ্রেড নোবেলের ডিনামাইট আবিষ্কারের স্মৃতিকে উসকে দিচ্ছে। যে জিনিস ব্যবহারকারীকেই বুদ্ধিহীন করে তুলতে পারে, এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানবজাতির জন্যে বুমেরাং নয়?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#chatgpt, #merits, #technology, #demerits

আরো দেখুন