ক্রমশ বেকারত্বের অন্ধকারে ডুবছে দেশ! বলছে তথ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বছর শুরুর দিন থেকেই দেশে ঘনাতে শুরু করেছে আশঙ্কার মেঘ। ফেব্রুয়ারিতে ফের বেকারত্বের হার বৃদ্ধিতে চিন্তায় দেশের আমজনতা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান CMIE-র সমীক্ষা বলছে, ফেব্রুয়ারিতে বেকারত্বের হার জানুয়ারির তুলনায় অনেক বেশি। সমীক্ষায় এটা স্পষ্ট যে, বেকারত্বে রাশ টানা ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নরেন্দ্র মোদী যতই আত্মনির্ভর ভারত বলে গলা ফাটাক না কেন বাস্তবে দেশে বেকারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
সিএমআইই (সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে জানুয়ারিতে বেকারত্বের হার ছিল ৭.১৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৪৫ শতাংশে। দেশের মধ্যে শহরে বেকারত্বের হার কিছুটা কমলেও গ্রামে অনেক বেড়েছে বেকারত্ব। গত বছর ডিসেম্বর মাসে শহরে ছিল ১০.০৯ শতাংশ, সেটা জানুয়ারিতে হয়েছিল ৮.৫৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে তা সামান্য কমে দাঁড়িয়েছিল ৭.৯৩ শতাংশ। কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো পথে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারিতে গ্রামে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৪৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সেটা বেড়ে হয়ছে ৭.২৩ শতাংশ।
প্রায় চার দশক ভারতে সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। ২০১৮-র করোনাকালের আগেই বেকারত্বের হার বৃদ্ধি ঘটেছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে জাতীয় পরিসংখ্যান সংগঠন (NSO)-র এই সমীক্ষায় তথ্য চেপে গিয়েছিল মোদী সরকার।
প্রতি মাসে বেকারত্বের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে CMIE। সেই তথ্য অনুযায়ী, গ্রামে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে। জানুয়ারিতে কাজের জন্য ২ কোটি ৫৯ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে আবেদনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ। ২২-এর ডিসেম্বরে কিছুটা কর্মসংস্থান বাড়লেও আরও বেশি সংখ্যক মানুষ কাজ খুঁজতেই মাথা চাড়া দিয়েছে বেকারত্ব। এর উপর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।
ওয়াকিবহল মহলে প্রশ্ন উঠেছে, যদি বাস্তবে আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি খুলেই যায় তাহলে বেকারত্ব বাড়ছে কেন? যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারংবার দাবি করে আসছেন ভারতীয় অর্থনীতির শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে। সেই দাবি অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে যতই সঙ্কট ঘনীভূত হোক না কেন, ভারতে শিল্পে অগ্রগতি বহাল। অন্যান্য বহু দেশের তুলনায় দেশের অবস্থা নাকি অনেক ভাল।