দোলপূর্ণিমা তিথিতেই নরেনকে বিশ্বজয়ের পাঠ পড়িয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দোলপূর্ণিমা তিথিতেই সিমলের নরেন্দ্রনাথ দত্তকে সন্ন্যাসের প্রথম পাঠ দিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। মহেন্দ্র গুপ্ত অর্থাৎ পরমহংসদেবের প্রিয় শ্রীম রামকৃষ্ণ কথামৃত গ্রন্থে এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন। দিনটা ছিল ১৮৮৫ সালের, ১লা মার্চ। দোলপূর্ণিমা তিথি। ঠাকুর একটু আবির নিয়ে একে একে সব দেবদেবীর পায়ে দিলেন। একে একে রাধামাধবের পায়ে ও অন্য সমস্ত দেবদেবীর পটচিত্রে দিলেন। এরপর নরেনের গালেও মাখিয়ে দেন। তারপর শ্রীম ও উপস্থিত বাকি ভক্তদের রাঙিয়ে দিলেন আবিরে।
ঠাকুর দোল খেলতে খুবই পছন্দ করতেন, সে কথা অনেকেই জানিয়েছেন। সে দিন আবির ছড়াতে ছড়াতে মনের আনন্দে নামগান করতে আরম্ভ করেন পরমহংসদেব। নামগান করতে করতেই ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হুঁশ ফিরতেই ঠাকুর রামকৃষ্ণ ডেকে নিলেন তাঁর প্রিয় নরেনকে। সিমলের নরেন্দ্রনাথ দত্ত থেকে বিশ্বজয়ী স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে ওঠার প্রথম পাঠ দিলেন নরেনকে। ঠাকুর বললেন, ‘বাবা, তুই কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ কর। ও না করলে কিচ্ছু হবে না।’ স্বামীজি সেই আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন, গোটা জীবন ধরেই করে গিয়েছিলেন। হয়ে উঠেছেন ভারতের আরেক নাম। সেই কারণেই তিনি বিশ্ববরেণ্য বিশ্বজয়ী।