দেশের কোন প্রান্তে কী নামে, কীভাবে পালিত হয় রঙের উৎসব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রঙের উৎসবে মেতে ওঠার জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ। কোথাও লাঠমার হোলি তো কোথাও ফুলের দোল, কোথাও ফসলের উৎসব তো কোথায় বীরত্বের বন্দনা। সারা দেশ জুড়েই দাোল বা হোলি আসলে মিলনের উৎসব। বাঁধ ভাঙার পার্বণ। দেশের নানা জায়গায় নানা ভাবে পালন করা হয় এই উৎসবটিকে। দোল উৎসবটিকে ঘিরে প্রায় সব জায়গাতেই মিশে থাকে রাধাকৃষ্ণের অনুসঙ্গ। বহু জায়গাতেই ফাল্গুন পূর্ণিমায় রাধাকৃষ্ণের পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে।
আসুন জেনে নিই, দেশের কোথায় কীভাবে পালন করা হয় এই হোলি বা দোল উৎসব-
বৃন্দাবনের ফুলের হোলি: হোলির সপ্তাহের একাদশীর দিন এই বিশেষ খেলা হয়ে থাকে। ফুলের পাঁপড়ি দিয়ে এই দোল খেলা হয়। বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে কৃষ্ণভক্তরা এই হোলি খেলায় মেতে ওঠেন।
শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব: পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে এই বসন্ত উৎসব পালিত হয়। এখন অবশ্য কলকাতার একাধিক জায়গা সহ রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উত্তর প্রদেশের লাঠমার হোলি: বর্ষণায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে হোলি খেলতে আসতেন। তিনি রং খেলতে এসে গোপীদের গায়ে রং দিয়ে তাঁদের সঙ্গে মজা করতেন। তাই তখন তাঁরা কৃষ্ণকে এবং তাঁর বন্ধুদের বাঁশ দিয়ে মজা করে মারতেন। সেটাই এখনও চলে আসছে। আজও এখানে নন্দগাও থেকে ছেলেরা আসে এই বিশেষ দোল খেলতে।
জয়পুরের রাজকীয় হোলি: জয়পুরের বিভিন্ন প্রাসাদে এদিন ব্যাপক আয়োজন করা হয় বিশেষ দিনটিকে উদযাপন করার জন্য। নানা রঙে মেতে ওঠে গোলাপি শহর।
বিহারের ফাল্গুন পূর্ণিমা: ফাল্গুন পূর্ণিমার রাতে বিহারে হোলিকা দহন করা হয়। শস্য, গোবর, পাতা,, ইত্যাদি দিয়ে হোলিকা বানিয়ে সেটা পোড়ানো হয় এদিন।
হরিয়ানার ধুলান্দি হোলি: এই উৎসব বৌদি আর দেওরের মধ্যে খেলা হয়ে থাকে। তাঁদের মধ্যে যে মজার সম্পর্ক সেটাকে উদযাপন করার জন্যই এই দোল খেলা হয়ে থাকে।
মণিপুরের জোসাং: এটি একটি পাঁচদিনের অনুষ্ঠান। এখানে ঈশ্বরকে নিবেদন জানানো হয় পুজোর মাধ্যমে। স্থানীয়রা গান গেয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করেন। দুদিন ধরে তারপর রং দিয়ে হোলি খেলা হয় এখানে।
কেরলের মাঞ্জুল কুলি: গসৃপূরম থিরুমার কঙ্কনি মন্দিরে এদিন সকলে যান, পুজো দেন। তারপর জল আর হলুদ দিয়ে হোলি খেলেন।