বাংলার কৃষকদের আয় বেড়েছে তিন গুণ, বলছে খোদ কেন্দ্রের রিপোর্ট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী আমলে দেশের কৃষকদের অবস্থা ক্রমশই দৈন্য থেকে দৈন্যতর হচ্ছে। গোটা দেশের অন্যান্য রাজ্যর কৃষকরা ঋণের দায়ে জর্জরিত, কিন্তু উলট পুরাণ বাংলায়। বাংলার কৃষকদের আয় তিন গুণ বৃদ্ধ পেয়েছে। কৃষক পরিবার পিছু ঋণের বোঝা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বাংলা। খোদ মোদী সরকারের পরিসংখ্যানে এমন উঠে এসেছে। বাংলার কৃষকদের উপর ঋণের বোঝা জাতীয় গড়ের অর্ধেকেরও কম। সর্বাধিক ঋণের বোঝা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, হরিয়ানা, কর্ণাটক, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যের কৃষকদের মাথায়।
সারা দেশের কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিলেন মোদী, কিন্তু তা আজও পূরণ হয়নি। বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে কৃষক পরিবারগুলির উপর ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। কিন্তু বাংলার ছবিটা ঠিক উল্টো। বাংলায় কৃষকরা কৃষকবন্ধু, বাংলা শস্য বিমা, উন্নতমানের কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদানসহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পান। দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ সম্প্রতি রাজ্য ৩৪৮ কোটি টাকা খরচ করেছে। বাংলার অনুকরণ করে রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, বিহার, ওড়িশাসহ নানা রাজ্য কৃষকদের জন্য নানা বিধ প্রকল্প আনার পথে এগোচ্ছে। কেন্দ্রের ফসল বিমা যোজনা নয়, কৃষকদের উন্নয়নে মডেল হয়ে উঠেছে বাংলা। কারণ, মোদী সরকারের ফসল বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের অনেকটা টাকাই গ্রাহকদের দিতে হয়। ন্যূনতম দেড় বছর সময় লেগে যায় ক্ষতিপূরণ পেতে। কিন্তু বাংলায় তেমনটা হয় না, রাজ্যের কৃষকরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে শস্য বিমার সুবিধা পান। অন্যদিকে, সারের কালোবাজারি ঠেকাতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। কালোবাজারি রুখতে বেশ কিছু সারের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১১ জন সার বিক্রেতার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সার বিক্রেতাদের শোকজ নোটিস, কাউকে কাউকে সতর্কও করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে যার সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা।