পুর-বাজেট পেশ ১৭ মার্চ, কোন কোন খরচ বাড়তে পারে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিভিন্ন খাতে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার খরচ। সম্পত্তিকর পুরসভার আয়ের একটা বড় উৎস। তবে খবর মিলেছে, আর সম্পত্তিকর নয়, আগামী বাজেট থেকে নতুন আয়ের উৎসের হদিশ খুঁজছে পুরসভা। খবর মিলেছে, সেই মতোই বাজেট তৈরি করতে চলছে পুরসভা। আগামী ১৭ মার্চ পুরসভার বাজেট পেশ করবেন মহানাগরিক।
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পুরসভার আয় কয়েকশো কোটি টাকা বেশি হয়েছে। সম্পত্তিকর মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায় বিভাগ, বিল্ডিং, লাইসেন্স, মার্কেট, বিনোদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে পুরসভার। তবে খরচও বেড়েছে। কীভাবে আয়বৃদ্ধি সম্ভব, আগামী বাজেটে সেই পথই খুঁজছেন পুরসভা। খবর মিলেছে, পুরসভার বাজারগুলিতে বহু বছর ধরে দোকানের ভাড়া বাড়েনি, আয় বাড়াতে এবার সেই ভাড়া কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। পাশাপাশি বাজারগুলির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যবসায়ীদের মাসিক কিছু টাকাও ধার্য করা হতে পারে।
এপ্রিল থেকে পুরসভার কমিউনিটি হলগুলির ভাড়া বাড়ানো হবে, বাড়বে শহরে পার্কিং ফিও। মনে করা হচ্ছে, নতুন লাইসেন্স ও পুরনো লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে ফি বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে বাজেটে। জানা গিয়েছে, বিশেষ নজর দেওয়া হবে বিল্ডিং বিভাগে। শহরের বেআইনি বিল্ডিং থেকে জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে জোর দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নোটিশ দিয়ে বা কোর্ট কেস করে বা নিয়ম অনুযায়ী ছাড় দিয়ে জরিমানা আদায় করার পন্থা নেওয়া হচ্ছে। শর্তসাপেক্ষে শহরের বহু বেআইনি নির্মাণকে রেগুলারাইজ করা হয়েছে, এখনও সেগুলির টাকা জমা পড়েনি। টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বকেয়া টাকা আদায়ে জোর দেওয়া হবে বলেই জানা যাচ্ছে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে জঞ্জাল সাফাই করতে পুরসভা চার্জ বাড়াতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়া, বড় বড় পার্ক, ব্যাঙ্কোয়েট হলের বিনোদন কর বৃদ্ধি করার পথে হাঁটতে পারে পুরসভা। পুরসভার বহু জমি বা সম্পত্তি এখনও ফাঁকা রয়েছে, সেই জায়গাগুলো ভাড়া দিয়ে বা কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে লিজ দিয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টা চালাতে পারে পুরসভা। খবর মিলেছে, বাজেট ঘাটতি কমানোর চেষ্টা চলাচ্ছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।