আদানীকাণ্ড নিয়ে জেপিসি গড়ার দাবিতে মঙ্গলবার তেতে উঠল সংসদের উভয় কক্ষ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফায় আদানীকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবিতে তেতে উঠল সংসদের উভয় কক্ষ। এর পাশাপাশি রাজ্যসভায় অস্কারের মঞ্চে ভারতের জয়জয়কার নিয়ে শিল্পীদের অভিনন্দন জানানোও হয়।
আদানীকাণ্ড নিয়ে জেপিসির দাবি করছে বিরোধীরা। তাতে রাজি নয় মোদী সরকার। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফায় তা নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সংসদ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি পাল্টা আঘাত হানতে অস্ত্র করছে ইংল্যান্ডে রাহুলের বক্তৃতাকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এ ছাড়া বিশেষ উপায়ও নেই সরকারের হাতে। সব মিলিয়ে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে সংসদে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়নি। সাংসদদের হল্লা থামাতে দুই কক্ষের অধিবেশনই মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
আদানীকাণ্ড নিয়ে জেপিসির দাবিতে সংসদের ঠিক বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর আদানী গোষ্ঠীকে বাঁচাতে এসবিআই এবং এলআইসির টাকা ঢালা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যে স্টেট ব্যাঙ্ক এবং এলআইসিতে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের অর্থ গচ্ছিত রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের টাকা লুট করাই বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্য।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের আগে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় রবিবার নয়াদিল্লিতে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে অবশ্য সব বিরোধী দলের সদস্যরা যাননি। তবে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সংসদীয় কমিটিতে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মীদের নিয়োগ করার। এই নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
সংসদের বাজেট অধিবেশন ৩১শে জানুয়ারী সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ দিয়ে শুরু হয়েছিল। সংসদ অধিবেশনের প্রথম পর্ব ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। সময়কালে, মোট ১০টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্যায়ে, রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-৩৪-এর ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনা করা হয়েছিল।