মহুয়া মৈত্রকে ‘অসংসদীয়’ শব্দে আক্রমণ BJP সাংসদ নিশিকান্তের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঝাড়খণ্ডের বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এ বার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করতে গিয়ে সব শালিনতা ছাড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।
মহুয়া আক্রমণ করতে গিয়ে এই বিজেপি সাংসদ টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাদের সমস্ত কর্মীকে অনুরোধ করব, যে মহিলাদের বড়-ছোটর কোনও জ্ঞান নেই, বিশেষ করে বাংলার একজন মহিলা এমপি যিনি বিকৃত মানসিকতার শিকার এবং আমার ঝাড়খণ্ডের বিকৃত মানসিকতার বাধায়িকার জন্য কোনও হালকা মন্তব্য করবেন না। আমাদের ধর্মে তো বৈশালীর নগরবধূকেও সম্মান দিয়েছে।’ শুধু তাই নয়, নিশিকান্ত দুবে টুইচারে আরও লেখেন, ‘বাংলার একজন মহিলা সাংসদের বিকৃত মানসিকতা এবং তাঁর চন্ডালদের দলভুক্ত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক এবং মর্মান্তিক।’ মনে করিয়ে দেওয়া যাক, নগরবধূ শব্দটির অর্থ দেহোপজীবিনী।
ব্রিটেন সফরে গিয়ে রাহুল ‘দেশকে অপমান’ করেছেন বলে বিজেপি শিবিরের অভিযোগ। তাঁর ‘নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা’র দাবিতে ৪ দিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সরকার পক্ষের সাংসদেরা। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘‘লন্ডনে গিয়ে রাহুল গান্ধী যে মন্তব্যগুলি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তার সত্যতা যাচাই করতে একটি কমিটি গড়া হোক। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা প্রয়োজন।’’
এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিশিকান্ত দুবের একাডেমিক রেকর্ড খুঁজে বের করেছেন এবং একাধিক টুইট করে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘দুবে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে লোকসভায় জমা দেওয়া তাঁর হলফনামায় দাবি করেছিলেন যে তিনি ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পার্ট টাইম এমবিএ’ ছিলেন।’’ এরপর মহুয়া আরেকটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সম্মানিত সাংসদের নামে কেউ ১৯৯৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও এমবিএ পোগ্রামে ভর্তি হন নি বা পাশ করেন নি।’
এরপরই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করে টুইট করেন। যেখানে তিনি অসংসদীয় শব্দও ব্যবহার করেছেন।
উল্লেখ্য, মাস ছ’য়েক আগে গায়ের জোরে দেওঘর বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের ঘরে সপুত্র ঢুকে পড়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করেছিলেন।