বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

ব্যারাকপুরে অন্নপূর্ণা মন্দিরের প্রতিষ্ঠায় রানী রাসমণি যোগ! কীভাবে? জানুন

March 23, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অন্নদামঙ্গলের প্রভাবে বাংলায় অন্নপূর্ণা পুজোর প্রসার ঘটে। কিন্তু গোটা বাংলায় খুব বেশি অন্নপূর্ণার মন্দিরের দেখা মেলে না। ব্যারাকপুরের তালপুকুর অঞ্চলে রয়েছে অন্নপূর্ণা মন্দির, চট করে দেখলে মনে হবে অবিকল দক্ষিণেশ্বরের মন্দির। কিন্তু ভবতারিণী নন, সেখানে পূজিত হচ্ছে দেবী অন্নপূর্ণা। দেবীর আদেশে কাশীযাত্রা স্থগিত রেখে জানবাজারের রানি রাসমণি ১৮৫৫ সালে দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

কাশীর অন্নপূর্ণা দর্শন না হওয়ায়, রানি রাসমণির জামাই মথুরমোহন বিশ্বাস স্থির করেন তিনি দেবী অন্নপূর্ণার মন্দির প্রতিষ্ঠা করবেন। মথুরের সেই স্বপ্নপূরণ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী, রানি রাসমণির ছোট মেয়ে জগদম্বাদেবী। অবশ্য ততদিনে রানি ও মথুর কেউই আর বেঁচে নেই। দক্ষিণেশ্বরে মন্দির প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পরে ১৮৭৫-এর ১২ এপ্রিল অন্নপূর্ণা মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। মন্দির প্রতিষ্ঠার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিলেন মথুরমোহনের পুত্র দ্বারিকানাথ বিশ্বাস। গড়ে ওঠে নয় চূড়া বিশিষ্ট নবরত্ন মন্দির, সঙ্গে বৃহৎ নাট মন্দির, দুটি নহবৎখানা, গঙ্গার ঘাট। প্রায় তিন লক্ষ বন্ধ খরচ। রয়েছে ছটি আটচালা শিব মন্দির। শিবেরা হলেন কল্যাণেশ্বর, কাম্বেশ্বর, কিন্নরেশ্বর, কেদারেশ্বর, কৈলাসেশ্বর, ও কপিলেশ্বর।

মন্দিরে পূজিত হচ্ছেন অষ্টধাতু নির্মিত শিব ও অন্নপূর্ণা। দেবীকে বেনারসি শাড়ি পরানো হয়, স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিত করা হয়। দেবীর চালচিত্র ও সিংহাসন রুপোর তৈরি। প্রতি মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মন্দিরে বিশেষ পুজো হয়। মন্দিরে প্রতি দিন অন্ন ভোগ হয়। দেবী অন্নপূর্ণার ভোগে প্রতি দিন মাছ দেওয়া হয়। কালীপুজোর পরদিন মন্দিরে অন্নকূট উৎসব হয়। এছাড়াও অন্নপূর্ণাপুজোর দিন অন্নকূট হয়। আগে এখানে বলিদান হলেও এখন তা বন্ধ। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তিতে, মঙ্গলচণ্ডী পুজো, বিপত্তারিণী পুজো, অম্বুবাচী, জন্মাষ্টমী, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় মন্দিরে বিশেষ পুজো হয়। জীবৎকালে এই মন্দিরে মোট চার বার এসেছিলেন রামকৃষ্ণ। মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে তিনি উপস্থিত ছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Barrackpore, #Karunamoyee Rani Rashmoni, #Annapurna Mandir, #Jagadamba Debi

আরো দেখুন