সচিবালয়ের কাঁধে বন্দুক রেখে বিরোধীদের হাঁড়ির খবর নেবে মোদী সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার বিরোধীদের হাঁড়ির খবর নেবে মোদী সরকার। এই কাজ সুচারুভাবে করার জন্য এক অভিনব পন্থা নিল মোদী সরকার। এবার থেকে সংসদ সচিবালয় বিরোধী সাংসদদের ব্যক্তিগত সহায়কও অর্থাৎ পিএ বা পিএস নিয়োগ করবে। সাফ কথায়, আর কোনও বিরোধী সাংসদ নিজের পছন্দ মতো ব্যক্তিকে সহায়ক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবেন না। অবিজেপি দলগুলির অভিযোগ, বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের উপর গোয়েন্দাগিরি চালানোর নতুন ফন্দি খুঁজে পেয়েছে মোদীর দল।
মোদী ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রের মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত সহায়ক পদে বিজেপি ও আরএসএস ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আসা শুরু হয়েছিল। কার্যত এক অলিখিত নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার আর কেবল নিজেদের নয়, সরাসরি বিরোধীদের ঘরেও আড়ি পাততে শুরু করছে মোদী সরকার। চিঠিপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে বিমানের টিকিটসহ অন্যান্য খরচ আদায়, সাংসদের গোপনীয় বার্তা পৌঁছনোসহ নানাবিধ কাজ করে থাকেন ব্যক্তিগত সহায়করা। ফলে ওই পদে এমপিরা সাধারণত বিশ্বাসভাজন লোকদেরই নিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু মোদী সরকার তা আর করতে দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সাংসদরা নিজেদের সংসদীয় কাজ দেখভালের জন্য চারজন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সহায়ক নিয়োগ করতে পারেন। সংসদ সচিবালয় এই বাবদ মাসিক ৪০ হাজার টাকা করে দেন। সাংসদ সহায়ক পদে একজনকে রাখবেন, নাকি চারজন, তা একেবারেই নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু মোদী সরকারের বক্তব্য, যেহেতু সরকার বেতন দেয়, তাই এবার থেকে তারাই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে কি সংসদের সচিবালয়ের কাঁধে বন্দুক রেখে নজরদারি চালাবে মোদী সরকার?
কোভিডের কথা বলে আজও মূল সংসদ ভবনে এমপির সহায়কদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। সংসদ ভবনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে গাড়ি পরিষেবা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। গাড়ির অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সাংসদদের। বলা হচ্ছে, সচিবালয়ের গাড়ি নাকি অন্যত্র ব্যবহার হচ্ছে। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়া হচ্ছে এই গোয়েন্দাগিরির। বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদ সচিবালয়ের মাধ্যমে মোদী সরকার এমপিদের গতিবিধি জানার পরিকল্পনা করছে। ২০টি সংসদীয় কমিটিতে উপ রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত কর্মী নিয়োগ নিয়েও একই প্রশ্ন উঠেছিল। খবর মিলছে, ইতিমধ্যেই বিজেপি-আরএসএস ঘনিষ্ঠ তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন সাংসদদের কাছে পাঠানো হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, কোন সাংসদ কার সঙ্গে দেখা করছেন, কাকে চিঠি লিখছেন, সব খবর নিতেই এমন পন্থা নিয়েছে মোদী সরকার।