ফ্রান্সের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক এমবাপের, গোল করলেন এবং করালেন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দুই দলের সামনেই ছিল নতুন শুরুর চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপের যুগে প্রবেশ করল ফ্রান্স। আবার কাতার বিশ্বকাপের পর ডাচরা বদলেছে কোচ। ডাচদের ফুটবলে শুরু হয়েছে রোনাল্ড কোমান–যুগ। দুই দলের নতুন শুরুতে প্রথম জয়টা এমবাপের ফ্রান্সের।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে কোমানের নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিয়েছে এমবাপের দল। এমবাপের জোড়া গোলে ফ্রান্স ৪–০ গোলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে।
অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকটা দারুণভাবে রাঙিয়েছেন এমবাপে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করলেন জোড়া গোল আর অন্য একটি করিয়েছেন আতোয়াঁন গ্রিজমানকে দিয়ে। এর আগে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপে, আর এবার করলেন জোড়া গোল।
এই ম্যাচে জোড়া গোল করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এমবাপে পেছনে ফেলেছেন করিম বেনজেমাকে। যদিও সব মিলিয়ে এমবাপের অবস্থান এখন পাঁচে। তবে যে গতিতে ছুটছেন, তাতে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে ওঠাটা এমবাপের জন্য সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছেন অনেকে।
অধিনায়কত্ব না পাওয়ার অভিমানে জাতীয় দলকে বিদায় জানাতে পারেন গ্রিজমান! এই ম্যাচের আগেও এমন কথা শোনা গিয়েছিল। গ্রিজমানের হতাশার বিষয়টা এমবাপে বুঝতে পেরে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন।
এমবাপের কথাতে যদি গ্রিজমানের অভিমান নাও ভাঙে, এমবাপের সহায়তায় গোল করে অভিমানের বরফ কিছুটা হলেও গলতে পারে গ্রিজমানের! ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটেই এমবাপের সহায়তা থেকে গোল করেন গ্রিজমান। গ্রিজমানের গোলের পর ৮ মিনিটে আবারও ফরাসিদের এগিয়ে দেন দায়ত উপমেকানো।
অধিনায়ক হিসেবে গোল পেতে এমবাপেকেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২১ মিনিটে অরেলিয়াঁ চুয়ামেনির পাস থেকে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও নেদারল্যান্ডসের আক্রমণ ফরাসিদের রক্ষণভেদ করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ফ্রান্সের আক্রমণ দিয়েই শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধ। ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে নেদারল্যান্ডসও ম্যাচে ফেরার চেষ্টাটা চালিয়ে যায়। ৫৮ মিনিটে মেম্ফিস ডিপাই গোলরক্ষক বরাবর ফ্রি–কিক নেন। এখান থেকে নেদারল্যান্ডস কর্ণার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো ডাচদের নেওয়া সেই কর্নার থেকে বল কেড়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় ফ্রান্স। ৭৭ মিনিটে গ্রিজমানকে তুলে নেন দিদিয়ের দেশম।
৭৮ মিনিটে সহজ একটি সুযোগ মিস করেন এমবাপে। ফরাসি অধিনায়কের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক। তবে বেশিক্ষণ আর তাঁকে আটকে রাখা যায়নি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন এমবাপে। এই গোলে তিনি ফ্রান্স জাতীয় দলের পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান, ছাড়িয়ে গেছেন করিম বেনজেমাকে। ফ্রান্সের হয়ে তাঁর গোল এখন ৩৮টি। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে পেনাল্টি পেলেও গোল করতে পারেননি ডিপাই।