১০০ দিনের প্রকল্পে মজুরি বাড়লেও বাংলার ভাগ্যে জুটলো না কিছুই
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী অর্থবর্ষের জন্য ১০০ দিনের প্রকল্পে মজুরির সংশোধন করল কেন্দ্র। ৭ থেকে ২৬ টাকা পর্যন্ত মজুরি বাড়াল কেন্দ্র। গত ২৪ মার্চ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক মজুরির হারে পরিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তা কার্যকর হচ্ছে ১ এপ্রিল থেকে। তবে অন্যান্য রাজ্যে মজুরি বাড়লেও বাংলার প্রাপ্তির ঘর ফাঁকাই থাকল। নতুন অর্থবর্ষেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনার রাজনীতি থেকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না রাজ্যকে। বাংলাকে ‘ভাতে মারতে’ প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দ আপাতত শূন্যই থাকছে।
সংশোধনের পর ১০০ দিনের প্রকল্পে সবচাইতে বেশি মজুরি হচ্ছে হরিয়ানায়- দৈনিক ৩৫৭ টাকা। সবচাইতে কম মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে- ২২১ টাকা। গত বছরের তুলনায় সবচাইতে বেশি মজুরি বেড়েছে রাজস্থানে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ২৩১ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ২৫৫ টাকা।
যদিও মজুরি বৃদ্ধি হলেও তা এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি। দেশের গ্রামাঞ্চলে এই ১০০ দিনের প্রকল্পে কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে ডিজিটাল হাজিরা শুরু হয়েছে। তারপর থেকেই শ্রমিকদের যোগদান নিম্নমুখী। ডিজিটাল হাজিরা চালু হওয়ার পর জানুয়ারিতে হাজিরা ১০ শতাংশ কমেছিল। ফেব্রুয়ারির পর মার্চে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকদের সংখ্যা আরও কমেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পে ১.৮৫ কোটি পরিবার কাজ পেয়েছিল। এর পরের মাস অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারিতে অ্যাপে হাজিরা বাধ্যতামূলক হয়েছে। আর এরপরই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা ও প্রযুক্তিগত সমস্যায় শ্রমিকদের ভোগান্তির ভূরিভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে। হাজিরা নথিভুক্ত করতে কোথাও কোথাও শ্রমিকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেট সংযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। তারপরও মজুরিও হারাতে হয়েছে বলে অভিযোগ। আরএই কারণেই প্রকল্পে যোগদান কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
১০০ দিনের প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বহুবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের তরফে একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও ১০০ দিনের প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের।