আদালতের জট কাটল, এপ্রিল মাসেই পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চলেছে কমিশন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এপ্রিল মাসেই সম্ভবত পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মে মাসেই গোটা ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চাইছে তারা। সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই এবিষয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠাতে চলেছে কমিশন। রাজ্যের তরফে সম্মতি মিললে দু’পক্ষের আলোচনা ও সহমতের ভিত্তিতে ভোটের নির্ঘণ্ট স্থির হবে। তারপরই বিজ্ঞপ্তি জারি পথে হাঁটবে কমিশন। দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে রমজান মাসের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। আইন অনুযায়ী, বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর ন্যূনতম ২১ থেকে সর্বাধিক ৪৫ দিনের ব্যবধান জরুরি। সেক্ষেত্রে মাঝামাঝি সময়কে ভিত্তি ধরে মে মাসের মধ্যে গোটা ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় কমিশন।
পঞ্চায়েত স্তরে আসন সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই জট কাটল। এদিন হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এই ইস্যুতে তারা হস্তক্ষেপ করছে না। বরং এব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্তের উপরই আস্থা রেখেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণায় আর কোনও বাধা রইল না।
আদালতের রায়ের পর বল সরাসরি এখন কমিশনের কোর্টে এসে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি কর্তারা। কারণ, ভোটের লক্ষ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সেরে রেখেছে রাজ্য কমিশন। দফায় দফায় জেলাগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে। বুথ সংখ্যা চূড়ান্ত করার পর কোন কোন এলাকায় ভোটকেন্দ্র তৈরি হবে, জেলাগুলিকে তার তালিকা প্রকাশের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এই ইস্যুতে কোনও অভিযোগ থাকলে তার নিষ্পত্তি করে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা কমিশনের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে জেলাগুলিকে। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার জন্য টিম তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। হিসেব অনুযায়ী, ভোটের কাজের জন্য ২২টি জেলায় ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ-সহ প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ সরকারি কর্মীর প্রয়োজন পড়বে। আপাতত সেই কাজও চলছে জোরকদমে। ফলে এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ বিপক্ষে গেলে বিপাকে পড়তে হতো বলেই মনে করছেন কমিশন কর্তারা।