বেআব্রু মোদী-শাহের গুজরাতের শিক্ষা ব্যবস্থা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মাস তিনেক আগে গুজরাতে বিধানসভা ভোটে অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিল রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। সেই সময় মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার ‘করুণ দশা’ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছিল, গুজরাতের শিক্ষা ব্যবস্থা মডেল হতে পারে গোটা দেশে।
কিন্তু ভোট মিটতেই বেআব্রু রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা। কয়েকমাস না কাটতেই গুজরাতের শিক্ষা ব্যবস্থা যে কতটা বেহাল, তা স্পষ্ট হয়েছে। সেই বেহাল দশার কথা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী। বিরোধীদের লাগাতার প্রশ্নের উত্তরে বিধানসভায় তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গুজরাতে সরকারি, সরকার পোষিত ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মিলিয়ে সহকারী শিক্ষকপদে ২৯ হাজার ১২২টি পদ শূন্য। এছাড়াও ৩ হাজার ৫৫২টি প্রিন্সিপাল পদ ফাঁকা। শুধু তাই নয়, গুজরাতে ৩৩টি জেলার মধ্যে ১৪টিতে নবম-শ্রেণির জন্য কোনও সরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নেই। এই জেলাগুলিতে নেই কোনও সরকার পরিচালিত ইংলিশ মিডিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলও। এমনকী ৩১টি জেলায় নেই সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কোনও ইংলিশ মিডিয়াম প্রাইমারি স্কুল। ডিজিটাল ও বিজ্ঞান শিক্ষার হাল নিয়েও উঠে এসেছে অত্যন্ত বেহাল ছবি।
বিরোধীদের অভিযোগ, আসলে গুজরাতের বিজেপি সরকার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩২ হাজার ৬৭৪টি শূন্য শিক্ষকপদের মধ্যে সরকারি স্কুলে ফাঁকা রয়েছে ২০ হাজার ৬৭৮টি। অন্যদিকে, শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মিলিয়ে ১১ হাজার ৯৯৬টি শূন্যপদ পূরণ করা যায়নি সরকার পোষিত স্কুলে। প্রাথমিক স্কুলগুলির হাল সবচেয়ে খারাপ। এই মুহূর্তে গুজরাতে সরকারি প্রাইমারি স্কুলে শূন্য শিক্ষকপদের সংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজার। এর মধ্যে শুধুমাত্র কচ্ছ জেলায় প্রাইমারিতে ১ হাজার ৫০৭জন শিক্ষকের পদ ফাঁকা।