সংবিধানকে বুড়ো আঙুল! আবার হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার ডাক BJP ঘনিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী নেতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি, সঙ্ঘ এবং তাদের বিভিন্ন সহযোগী শাখা সংগঠনগুলি। তারা প্রকাশ্যে এমনটা দাবিও করেন। এবার বিজেপি ঘনিষ্ঠ সংগঠন হিন্দু রাষ্ট্র পঞ্চায়েত দিল্লিতে দাঁড়িয়েই হিন্দু রাষ্ট্রের সূচনা করল। ২০২০ সালের হিংসা পীড়িত এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লিকে হিন্দু রাষ্ট্রের প্রথম জেলা হিসেবে ঘোষণা করার ডাক দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তাল হয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লি। প্রায় ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন। আহতের সংখ্যা ছিল সাতশোরও বেশি। বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যনারায়ণ জাটিয়ার উপস্থিতিতে রবিবার সেখানেই সভা করে এক বিজেপি নেতা, সংখ্যালঘুদের জমি-বাড়ি বিক্রি না করার ফরমান জারি করেছেন। তৎপর হয়েছে দিল্লি পুলিশ। গতকাল সভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সংগঠনটি সভা করেছে। সেই কারণে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। যদিও বিদ্বেষমূলক ভাষণের কারণে সংশ্লিষ্ট বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা এবার বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিজেপি নেতা তথা হিন্দু ইউনাইটেড ফ্রন্টের প্রধান জয় ভগবান গয়াল সভার আয়োজন করেছিলেন। তিনি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী জাটিয়া ছাড়াও আরেক গেরুয়া নেতা উত্তর দিল্লির প্রাক্তন মেয়র অবতার সিং সভায় হাজির ছিলেন। ওই সভা থেকে গয়াল বলেন, কোনও হিন্দু যেন তার দোকান বা বাড়ি কোনও ভিনধর্মীকে বিক্রি করবেন না বা ভাড়া দেবেন না। এরপরই তিনি বলেন, তারা প্রথমে উত্তর-পূর্ব দিল্লিকে হিন্দু রাষ্ট্র জেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। তারপর ধাপে ধাপে নাকি গোটা দেশকেই হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে। হিন্দুদের রক্ষার্থে তারা পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা স্তরে সংগঠন তৈরি করবেন বলেও জানান। গোটা ঘটনা থেকে দায় এড়িয়েছে বিজেপি কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামার কোনও নাম নেই।