মোদী আমলে জটিল হয়েছে IT রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া! দাবি সমীক্ষায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকার বরাবর দাবি করে এসেছে, তাদের আমলে আয়কর ব্যবস্থা নাকি অনেক বেশি সহজ-সরল হয়েছে। মোদী সরকারের দাবি, আয়কর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়াও নাকি সহজ করা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে অন্য তথ্য। বলা হচ্ছে, আয়করদাতারা নাকি অনেক বেশি মাত্রায় কর বিশেষজ্ঞদের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। যারা রিটার্ন দাখিল করেন, তারাও কর বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছেন। অপেক্ষাকৃত ছোট শহরগুলিতে এমন প্রবণতা বাড়ছে। কর ব্যবস্থা সরলীকরণের যে দাবি মোদী সরকার করছে, ঠিক তার উল্টো ছবি সামনে আসছে সমীক্ষার ফলাফলে। সব ধরনের করদাতাদের নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল জাস্ট ডায়াল নামের এক সংস্থা।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত অর্থবর্ষে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের হদিশ চালিয়েছে আম জনতা। মূলত আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়েই কর বিশেষজ্ঞদের ডাক পরে। এপ্রিল থেকে জুন, অর্থাৎ অর্থ বছরের প্রথম তিনমাসে চাহিদা থাকে সর্বাধিক। জাস্ট ডায়ালের সমীক্ষা বলছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রথম তিনমাসে আয়কর বিশেষজ্ঞদের যে চাহিদার তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ওই একই সময়ে, তাদের চাহিদা বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। বাংলাতেও বৃদ্ধির হার বেশ ভাল, প্রায় ৩৯ শতাংশ।
পেশা অনুযায়ী আয়করদাতাদের রিটার্নের আবেদন করার জন্য আলাদা আলাদা ফর্ম রয়েছে। দাবি করা হয়, চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ফর্ম পূরণ করা অপেক্ষাকৃত সহজ। যদিও ফর্ম নিজেরা পূরণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। আয়কর উপদেষ্টাদের কাছে ছুটতে হচ্ছে। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে জুন অবধি সময়কালের তুলনায় গত বছর ওই একই সময়ে বাংলা সর্বাধিক কর বিশেষজ্ঞদের চাহিদা ছিল দুর্গাপুরে। বৃদ্ধির হার প্রায় ৭৭ শতাংশ। এরপরেই আসানসোল, বৃদ্ধির হার ৫৫ শতাংশ। শিলিগুড়িতে বৃদ্ধির হার ৩৯ শতাংশ, হওড়ায় ২৯ এবং হুগলিতে ৮ শতাংশ। বলা হচ্ছে, দিন দিন করদাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতেও কর বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথমবার আয়কর দিচ্ছেন এমন আয়করদাতারা, অনেকেই কর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাইছেন। একাধিক করকাঠামো ব্যবস্থাও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ফলে বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়ছে।