পাঠ্যপুস্তক থেকে এবার মুছে ফেলা হচ্ছে দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের নাম!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস থেকে মুঘল যুগের ইতিহাসই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শুধু মুঘল অধ্যায় নয়, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) দ্বাদশ শ্রেনির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইতে গান্ধী হত্যার পর্বও ছেঁটে ফেলেছে।
এবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হল দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর নাম। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর নির্দেশে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর নামটি। বাদ দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতার পরে কাশ্মীরে শর্তাধীন অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গও।
বদলের তালিকায় শুধু ইতিহাসের বই-ই নয়, বদল ঘটানো হয়েছে নাগরিক বিজ্ঞান বা ‘সিভিকস’, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও হিন্দি পাঠ্যক্রমেও। হিন্দি সাহিত্য থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু কবিতা ও অনুচ্ছেদ, যা নতুন ভারতের উপযুক্ত নয়। নাগরিক বিজ্ঞান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ‘বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার আধিপত্য’ ও ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’–এর মতো বিষয়। বদলে দেওয়া হয়েছে ‘স্বাধীনতার পর ভারতীয় রাজনীতি’ অধ্যায়। পাল্টানো হয়েছে ‘জনপ্রিয় আন্দোলনের উত্থান’ ও ‘এক পক্ষের আধিপত্যের যুগ’ নামের দুটি অধ্যায়ও।
বিরোধীরা বলে, মোদী জমানায় দেশের উন্নয়ন বা গঠনমূলক কোনও কিছুই হচ্ছে না শুধু নাম বদলের পাশাপাশি শুধু ইতিহাসের ভোল বদল ঘটছে মোদীর রাজত্বে। এমনিতেই ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে মুঘলপর্ব বাদ দেওয়া, গান্ধী হত্যার পর্ব ছেঁটে ফেলা নিয়ে সরব গোটা দেশ। এবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদকেও পাঠ্যপুস্তক থেকে মুছে ফেলা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।