গোকুলের ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’, বিষয়টা কী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বিভিন্ন মহলে বেশ চর্চা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যন্ত্র বা অ্যাপ্লিকেশনকে মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তির আদলে কাজের উপযোগী করে তোলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির লক্ষ্য হলো এমন একটি কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি করা, যা মানুষের আচরণ ও চিন্তাশক্তির আদলে জটিল সমস্যার সমাধান করবে। নির্ভুল তথ্যের পাশাপাশি মানুষের আদলে বুদ্ধিমত্তা থাকায় সাইবার নিরাপত্তা, ভিডিও গেমস, নকশা, স্মার্ট গাড়ি, ডেটা সেন্টার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের একটা চল শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করে শিল্পীরা চিত্তাকর্ষক সব বিষয় তুলে ধরছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও এত উন্নত হয়েছে যে এটি ব্যবহার করতে বেশি খাটাখাটনি করতে হচ্ছে না। এ দিয়ে নিমেষেই চমকপ্রদ নানা কাজ করা যাচ্ছে।
এরকমই একটি চমকপ্রদ কাজ করেছেন ভারতীয় শিল্পী গোকুল পিল্লাই। বিশ্বের সাত ধনকুবের গরিব হলে দেখতে কেমন হতেন, তা ছবিতে তুলে ধরেছেন গোকুল। এঁরা হলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প, বিল গেটস, মুকেশ আম্বানি, মার্ক জুকারবার্গ, ওয়ারেন বাফেট, জেফ বেজোস ও ইলন মাস্ক। ইনস্টাগ্রামে ছবিগুলো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার। (তালিকার কাউকে বাদ দিলাম কি না?)’। সামাজিক মাধ্যমগুলিতে পোস্টটি ছড়িয়ে পড়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা ছবিগুলোতে বস্তিতে নোংরা পোশাক পরে এই সাত ধনকুবেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পোশাকে দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট। পেছনের ভাঙা ঘর দেখলে বোঝার উপায় নেই, এটিই ধনকুবের ট্রাম্প। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসেরও একই হাল। কোনো এক বস্তির নোংরা আবর্জনার মধ্যে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। তবে চোখে চশমাটা ছিল।
ভারতের এক নম্বর ধনী মুকেশ আম্বানিকেও ময়লা একটি কাপড় গায়ে বস্তির নোংরা গলির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পায়ে এক জোড়া চপ্পল। আবার ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে দেখে মনে হয়, বস্তির উঠতি বয়সী এক তরুণ। পরনে হাফপ্যান্ট।
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান ওয়ারেন বাফেটকে কোনো এক বস্তির গলিতে পকেটে হাত দিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। বহুজাতিক মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের জেফ বেজোস ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার ইলন মাস্কও যেন কোনো বস্তির বাসিন্দা!
আর শিল্পী গোকুলের এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টেই এখন মজে আছেন নেটনাগরিকরা। তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে প্রায় ১৮ হাজার জন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে লিখেছেন, ‘তাঁদের দেখে সত্যিই গরীব মনে হচ্ছে।