পয়লা বৈশাখে বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠনের ডাকে রাজপথে অভিনব ‘টাকা মিছিল’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাল আমলের বাজারচলতি প্রবাদ বাঙালি ব্যবসা পারে না, কিন্তু ভাষাগত জাতি হিসেবে বাঙালি জাতির ব্যবসার ইতিহাস সুদীর্ঘ। একই সঙ্গে গৌরবের, সেই ঐতিহ্যকে স্মরণ করেই গতকাল অর্থাৎ পয়লা বৈশাখে কলকাতার রাজপথ জুড়ে বাংলা পক্ষর ডাকে অভিনব ‘টাকা মিছিল’ চলল।
পয়লা বৈশাখ বাঙালির জন্য অত্যন্ত শুভ দিন। দিনটি বাঙালির ব্যবসা উদযাপনের দিন। নববর্ষ মানেই প্রভাত ফেরি, নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুজো, খাওয়া দাওয়া, বাংলাজুড়ে এটাই নতুন বছরের ছবি। সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলা পক্ষ বার্তা দিল, বাঙালিকে ব্যবসা করতে হবে, বাঙালিকে পুঁজির আরাধনা করতে হবে। বাঙালির পুঁজি চাই। ব্যবসাই বাঙালির বাঁচার মন্ত্র হোক, ব্যবসাই বাঙালির মুক্তির পথ। বাঙালি পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করার আহ্বান জানালেন তারা। তারা বলছেন, বাংলার অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নিতে বাঙালি তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায় এগিয়ে আসতে হবে৷ সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতে পয়লা বৈশাখে (১৫ এপ্রিল) বাংলা পক্ষ ও বাংলা বাণিজ্য পক্ষর যৌথ উদ্যোগে এক অভিনব ও বর্ণাঢ্য টাকা মিছিল বের হয়েছিল। রাসবিহারী মোড় থেকে গড়িয়াহাট মোড় পর্যন্ত হেঁটে চলল এই মিছিল। বাঙালির ব্যবসার আইকনদের বিশাল বিশাল কাট-আউট নিয়ে মিছিল করল বাংলা পক্ষ। আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, স্যার রাজেন মুখার্জী, আলামোহন দাস, অমর গোপাল বোস, মোস্তাক হোসেন, চন্দ্রশেখর ঘোষ, রুদ্র চ্যাটার্জী, মতিলাল শীল, দ্বারকানাথ ঠাকুর, নীলরতন সরকার, অন্নপূর্ণা দাসসহ বরেণ্য বাঙালিদের কাট আউট, সেই সঙ্গে বাংলার ঢাক, রণ পা নিয়ে বর্ণাঢ্য টাকা মিছিল চলেছে। মিছিলে অংশ নিলেন প্রচুর বাঙালি ব্যবসায়ী অংশ নিয়েছিলেন। গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যেও টাকা মিছিল ঘিরে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। বাংলা পক্ষর নানান স্তরের সাংগঠনিক পদাধীকারীরা এই মিছিলে হেঁটেছেন, আম বাঙালিরাও সামিল হয়েছিলেন মিছিলে।
টাকা মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। গর্গর কথায়, “বাঙালির জন্য আজ এক স্বপ্নের দিন। আজ এক ঐতিহাসিক দিন৷ বাঙালির ব্যবসাকে উদযাপনের দিন। বাঙালিকে সরকারি টেন্ডার দিতে হবে। বাঙালিকে ফুটপাতে হকারির লাইসেন্স দিতে হবে। বাঙালি ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাঙালিকে স্বদেশী করতে হবে। বাঙালির দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনতে হবে।”