নতুন সংসদ ভবনে বিরোধীদের অধিকার খর্ব হবে না তো? চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পাঁচহাজার শিল্পকর্ম ফুটে উঠবে দেশের নতুন সংসদ ভবনে। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে পাঁচ হাজার বছরের ভারতীয় কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে। ১২০০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত এই সংসদ ভবনের ছবি দেখলে ভিরমি খেতেই হবে। একেবারে বাস্তুশাস্ত্র মেনে তৈরি করা হচ্ছে এই নতুন ভবন।
কিন্তু এই ঝাঁ চকচকে নতুন সংসদ ভবনে বিরোধীদের কতটা স্বাধীনতা দেওয়া হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, নির্মীয়মাণ নতুন সংসদ ভবনে লোকসভায় কার্যত ‘ওয়েল’ বলে কিছু থাকছেই না। স্পিকারের সামনে চলে যাওয়ার পথও হয়ে যাবে বন্ধ। তাই উঠছে এই প্রশ্ন।
২০২০ সালে ১০ ডিসেম্বর প্রবল কোভিড মহামারী পর্বে বিরোধীদের বিতর্ক উড়িয়ে যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।
বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ ক্রমশ বেড়েছে মোদী সরকারের জমানায়। নতুন সংসদ ভবন নিয়ে সেই অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে। সংসদের দুই কক্ষ, লোকসভা এবং রাজ্যসভার ‘ওয়েলে’ নেমে প্রতিবাদ আর ‘ওয়াক আউটে’ অভ্যস্ত বিরোধীরা। এটাকেই বিরোধীরা একপ্রকার অধিকার হিসেবেই গণ্য করে। সেই দৃশ্য আবার দেখা পাওয়ার সুযোগ কম।
১৯৫২ সালের ১৭ এপ্রিল। সাধারণ নির্বাচনের পর বসেছিল দেশের প্রথম লোকসভা। চলেছিল পাঁচ বছর। প্রথম থেকেই সরকার বিরোধিতায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানো একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এটা ঠিকই যে, সরকার বিরোধী প্লাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ সভার বিধি সমর্থন করে না। কিন্তু এটাই প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই প্রতিবাদ কি এবার পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী সাংসদরা।
প্রায় তৈরি দেশের নতুন সংসদ ভবন। সংসদের নতুন ভবনে ১,২২৪ জন সংসদ সদস্যের বসার সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ একবারে ১,২২৪ জন সাংসদ বসতে পারবেন। এতে লোকসভায় ৮৮৮ জন সাংসদ এবং রাজ্যসভায় ৩৮৪ জন সাংসদ বসতে পারবেন। নতুন ভবনে কোনও সেন্ট্রাল হল থাকবে না। উভয় কক্ষের সাংসদরা কেবল লোকসভা হলে বসতে পারবেন। নতুন ভবনে একটি সুন্দর সংবিধান কক্ষও নির্মাণ করা হয়েছে। সংসদের নতুন ভবনে লাউঞ্জ, লাইব্রেরি, কমিটি হল, ক্যান্টিন ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।